সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিলীপ ঘোষের পদবি নিয়ে তাঁর মন্তব্য কুরুচিকর কিনা, তা বিচার করা কাজ নয় হাইকোর্টের। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপির প্রেসিডেন্ট শুনেছি ঘোষ, ঘোষদের তো আবার ৮০ বছর না হলে সাবালক হয় না ৷’’ মাস খানেক আগে করা এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় তরজা। কারও পদবি নিয়ে এহেন মন্তব্য কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। রাজনীতির সীমানা পেরিয়ে আদালতে পৌঁছে যায় এই ঘটনা। মানুষকে অসম্মানিত করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি।


এক মাস আগে নলহাটিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পদবি নিয়ে, এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন তিনি। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ অসম্মানিত হয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন সম্রাট ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।


কিন্তু সেই মামলাটি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজ শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ কি না, সেটা বিচার করার উপযুক্ত জায়গা হাইকোর্ট নয়। এই নিয়ে মামলাকারী, পুলিশ অথবা নিম্ন আদালতে দ্বারস্থ হতে পারেন, বলে পরামর্শ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।


উল্লেখ্য, গত মাসেই অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের আমোদপুরের কাছে। ময়ূরেশ্বর 2 নম্বর ব্লকের মহিলা সভায় যোগ দিতে আসার সময় অনুব্রত মণ্ডলের কনভয় বিপত্তি। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর জনসভা ছিল তাঁর। সেই জনসভায় যোগ দিতে ময়ূরেশ্বর যাচ্ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সেইসময়ই আমোদপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়ে থাকা দুটি গাড়ি।