রুমা পাল, কলকাতা: এক পা দু’ পা করে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন যতই এগোচ্ছে, ততই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। এবার মাঠে নামল বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ। গত সাড়ে  নয় বছরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার যদি কেউ হরণ করে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।


কোনও প্রতিবাদ করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। বালি পাচার কয়লা, চুরির ভাগ চাইছেন না তাঁরা, চাইছেন নিজেদের অধিকার।।বকেয়া ডিএ তাঁদের না দিয়ে রাজ্য সরকার বঞ্চিত করছে, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহর।


এদিন বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের কোল ভবনের সামনে গণ অবস্থানে এসে তিনি এ কথা বলেন। বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বকেয়া রয়েছে বলে প্রতিবাদে সোচ্চার হন।সম্প্রতি যেসব রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বিজেপি করেন, তাঁদের অন্যত্র দূরের জেলায় বদলি করার বিরোধিতা করে, প্রতিবাদে শামিল হন। অর্জুন সিংহর নেতৃত্বে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ শীল সহ একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে সরকারি কর্মচারীদের বদলির সংক্রান্ত একটি ডেপুটেশনও দেন। দেবাশীষ শীল জানান, রাজ্যপাল তাদের বলেছেন, ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা সব থেকে পিছিয়ে রয়েছেন।জেলায় জেলায় প্রশাসনের মধ্যে কিছু অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে যার শিকার হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীরা।এ সংক্রান্ত একটি নোট মুখ্য সচিবের কাছে পাঠাবেন রাজ্যপাল, এমনটাই দাবি সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীলের।


অন্যদিকে,  তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় বলেন, কোন কর্মচারী বদলি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। সরকার করতেই পারে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের তো লোকই নেই।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই সরকারি কর্মচারীদের পাশে  সহানুভূতির সঙ্গে রয়েছেন। গণঅবস্থানে অর্জুন সিংহর এর উপস্থিতি নিয়ে তার মন্তব্য,  তাঁদের সমস্যার সমাধানের জন্য কোন দলীয় প্রতিনিধির প্রয়োজন হয় না।


রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ ভোটযুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরা একটি বড় ফ্যাক্টর। এই ভোট অংকের ফলাফল কি দাঁড়াবে তা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।