পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: টিকিট না পাওয়ায় এবার কি বিজেপিতে যোগ দেবেন শম্পা দরিপা? অভিমানী বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়কের কথায় জল্পনা। জিতবেন না জেনেই প্রার্থী করেনি দল। সাফাই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।


বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি ৬৪ বিধায়কের। সোনালি গুহ, জটু লাহিড়ি, বাচ্চু হাঁসদা, দীপেন্দু বিশ্বাসের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছেন শম্পা দরিপাও। টিকিট না পেয়ে কার্যত ঘরে খিল দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিধায়ক। আরও একবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শোনা গেল তাঁর গলায়। বাঁকুড়ার বিদাযী বিধায়ক শম্পা দরিপা বলেছেন, ‘গত একমাস ধরে এলাকায় ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালাচ্ছিলাম। কয়েক জায়গায় প্রচারে সঙ্গী ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও আমি বাদ! এখনও পর্যন্ত জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি।’


তবে কি ভোটের মুখে তিনিও পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন? নাকি অভিমান ভুলে দলের প্রার্থীর হয়েই প্রচারে নামবেন? এ বিষয়ে বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়ক শম্পা দরিপা বলেছেন, ‘কেউ তো প্রচারের জন্য বলেনি। এমনকি প্রার্থী নিজেও যোগাযোগ করেননি। দলবদলের বিষয়ে এখনও ভাবিনি। তবে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারি।’


২০১৬-র ভোটে বাঁকুড়া থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন শম্পা। ভোটে জেতার কয়েকমাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। দলবদলু তকমা পাওয়া শম্পাকে এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী। পাল্টা জবাব দিয়েছে ঘাস-ফুল শিবিরও।


বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রি দানা বলেছেন, ‘শম্পা দরিপা আমার প্রতিবেশী। উনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মানুষকে অপমান করেছেন। এখন টিকিট না পেয়ে অভিমান হলে কিছু বলার নেই।’


এ বিষয়ে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র দিলীপ অগ্রবাল বলেছেন, ‘শম্পা প্রার্থীপদের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল মনে করেছে শম্পাকে প্রার্থী করলে জেতা সম্ভব নয়। তাই প্রার্থী করা হয়নি। ওঁকে কীভাবে প্রচারে ব্যবহার করা হবে, সেটা রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব ঠিক করবে।’


বাঁকুড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপির হয়ে লড়াইয়ে নীলাদ্রি দানা। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়ায় ভোটগ্রহণ।