অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুর: জল্পনা বাড়িয়ে শনিবার কাঁথিতে শিশির অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে গেলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ জানান, আশীর্বাদ নিতে শিশির অধিকারীর বাড়িতে যান তিনি।


তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপি সাংসদ। ‘ছেলের পাশে আছি, জানিয়েছেন শিশির অধিকারী’, সাক্ষাতের পর দাবি লকেটের। 


আজ সকালে কাঁথিতে কর্মিসভায় আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি শিশিরের বাড়িতে যাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে উনি বয়জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক পরামর্শ ও আশীর্বাদ নিতে যাব।


সেইমতো, এদিন শান্তিকুঞ্জে যান বিজেপি সাংসদ। সেখানে বিরোধী দলের সাংসদের জন্য ঘরোয়া পরিবেশে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রেখেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দুর বাবা তথা তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। মেনুতে ছিল-- ভাত-ডাল-আলুভাজা-শুক্তো মাছের ঝোল চাটনি। পরে, নিজের হাতে লকেটকে পান সেজে দেন শুভেন্দুর মা। 


শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক লকেট বলেন, ছেলের পাশে থাকবেন বলেছেন বাবা, শিশিরবাবুর মতো মানুষের খুব দরকার, ভূমিপুত্রই জিতবে, মেদিনীপুর মানেই অধিকারী পরিবার, এখানে আসব আর শান্তিকুঞ্জে আসব না তা হতে পারে না।



শিশির-লকেটের সাক্ষাতের সময় হাজির ছিলেন দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীও। ‘শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূল নেতা, দলকে সব জানিয়েছি’, শিশির-লকেট সাক্ষাৎ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৌমেন মহাপাত্রের।


এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কোথায় কারা যোগাযোগ রাখছিলেন এতেই বোঝা যাবে, বিজেপি পরিবারতন্ত্র নিয়েই তো কথা বলে জানি, মমতা তো অধিকারীদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে সবকটা আসনেই তৃণমূল জিতবে, মমতাও জিতবেন।


এদিকে, এদিনই, পূর্ব মেদিনীপুরের ১০ নেতাকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপ ও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠতার জন্য। অন্তর্ঘাতের চেষ্টার দাবি শাসক দলের।