অরিন্দম সেন, কালচিনি: আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি কেন্দ্রে ভোটে কি ফ্যাক্টর হতে চলেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ? মোর্চা নেতা পাশে থাকায় চা বলয়ের এই আসনে জয় সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী পাসাং লামা। বিজেপি-র পাল্টা দাবি, গুরুঙ্গ এখন অতীত। তারাই কালচিনিতে জিতবে।


আলিপুরদুয়ারের কালচিনি আসনে ঘাসফুল প্রতীকের প্রার্থী পাসাং লামার সঙ্গে এবার দেখা যাচ্ছে বিমল গুরুঙ্গকে। চা শ্রমিক বলয়ের এই আসনে মোর্চা নেতা কার্যত গাইড করছেন তৃণমূল প্রার্থীকে। কালচিনিতে নেপালি ও গোর্খা মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষের বাস। তৃণমূলের দাবি, গুরুঙ্গ পাশে থাকায় এই ভোট তাদের পক্ষেই যাবে। তবে কালচিনির গুরুঙ্গ-ঘনিষ্ঠ নেতা বিশাল লামা সম্প্রতি মোর্চা ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। যাঁকে এবার কালচিনিতে প্রার্থী করেছে বিজেপি। শিষ্য বিরোধী শিবিরে গেলেও, সাড়ে তিন বছর পর প্রকাশ্যে আসা গুরুঙ্গের দাবি, মানুষ তাঁর সঙ্গেই আছে।


মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গের দাবি, ‘পাসাংকে এমএলএ বানিয়েই যাব। খুব ভাল ফল হবে। বিশাল গেলেও, জনতা আমার পাশে আছে।’


২০১১-তে নির্দল হয়ে এবং ২০১৬-তে তৃণমূলের প্রতীকে কালচিনি থেকে জেতেন উইলসন চম্প্রমারি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর চম্প্রমারি বিজেপিতে যোগ দিলেও, এবার তাঁকে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। এর প্রতিবাদে কালচিনিতে বিক্ষোভ দেখান চম্প্রমারির অনুগামীরা। বুধবার আলিপুরদুয়ারে জেলা পার্টি অফিসের মধ্যেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। বিজেপি প্রার্থীর বিরোধিতায় আলিপুরদুয়ার বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্সও পড়েছে। এদিন, এই ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি। বিজেপিতে প্রার্থী বিক্ষোভ নিয়ে এদিন শালতোড়ার রোড-শো থেকে কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


দলে কোন্দল থাকলেও বিজেপি-র দাবি, কালচিনিতে ফ্যাক্টরই নন গুরুঙ্গ। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দাবি, ‘গুরুঙ্গের খাস লোক বিশাল লামা এখন বিজেপিতে। পাহাড়ে ওদের সাংগঠনিক শক্তি নেই। এখানে কী করবে? গুরুঙ্গের কোনও নীতি আছে নাকি!’


আগামী ১০ এপ্রিল ভোট কালচিনিতে এই কেন্দ্রে লড়াই এবার ত্রিমুখী।