শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ভোটের মুখে ফের অশান্ত কোচবিহার। তুফানগঞ্জে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে আগুন ও মাথাভাঙায় বিজেপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, প্রচারে আসতে এমন অভিযোগ করছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের পর থেকে উত্তরবঙ্গে যে জেলায় ধারাবাহিক গন্ডগোল হয়ে চলেছে সেই কোচবিহারে ফের জ্বলল আগুন...তুফানগঞ্জে বিজেপি নেত্রীর বাড়ি ও মাথাভাঙায় বিজেপির নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তুফানগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় ফের নিশানায় বিজেপির মণ্ডল সহ-সভানেত্রী রীতা অধিকারীর বাড়ি। সপ্তাহখানেক আগে ওই বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
তুফানগঞ্জের বিজেপির মণ্ডল সহ সভানেত্রী রীতা অধিকারী বলেন, ‘‘যেহেতু আমি বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে, তাই আমার উপর হামলা হচ্ছে, তৃণমূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, বারবার আমাকে ভয় দেখাতে চাইছে, ওরা আমার বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে খেলা হবে ৷’’
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দলের কাছে গুরুত্ব পেতে এ কাজ নিজেই করেছেন বিজেপি নেত্রী। তৃণমূলের মহিষকুচি ১-এর সহ সভাপতি এক্রামুল হক বলেন, ‘‘ওই নেত্রী দলের কাছে গুরুত্ব আগেও এমন করেছে, তুফানগঞ্জে প্রার্থী নিয়ে ওদের কোন্দল আছে, এসব নিজেরা করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে ৷’’
তুফানগঞ্জ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের মাথাভাঙার বড় শৌলমারিতে পুড়ল বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস। যা নিয়ে চাপানউতোরে জড়িয়েছে দুই দল। মাথাভাঙার বিজেপি নেচা বিকাশ বর্মন বলেন, ‘‘গতকাল রাত বারোটার পর তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা আমাদের অফিস পুড়িয়ে দেয়, আমাদের পথসভায় ভিড় হচ্ছিল, সেই ভয়ের ওরা এই কাজ করেছে ৷’’
মাথাভাঙার তৃণমূল নেতা ধনিরাম বর্মন জানান, ‘‘কোনও পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা সমর্থন করি না, তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে, পুলিশ ব্যবস্থা নিক ৷’’
১০ এপ্রিল কোচবিহারের ৯টি আসনে ভোট। ভোটের মুখে পরপর অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহার।