কলকাতা: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচন ২৭ মার্চ। তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে জোর তৎপরতা চলছে। প্রথম দুটি পর্বের জন্য বিজেপির প্রার্থীতালিকা শুক্রবার ঘোষণা করা হতে পারে জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


বুধবার দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আজ দলের নির্বাচন সমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে বিভিন্ন স্তর থেকে প্রার্থী হিসেবে যে নামগুলি এসেছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর ভিত্তিতে প্রতি আসনের চার-পাঁচ জন করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে দিল্লিতে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হবে। এ জন্য দলের রাজ্য নেতৃত্ব সম্ভবত আজই দিল্লি যাবেন। আগামীকাল বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হবে। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পরশু অর্থাৎ শুক্রবার প্রথম দুটি দফার নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।


(আরও পড়ুন-


শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা তৃণমূলের )


করোনা ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ যুক্তি দিয়েছেন, যে প্রক্রিয়া আগে থেকেই চলছে, সে বিষয়টি আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের আওতায় পড়ে না।


পেট্রোল পাম্পগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন,পেট্রোল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা বিধিভঙ্গ নয়। কারণ, পেট্রোল পাম্প সরকারি জায়গা নয়, ব্যক্তিগত এলাকা।


মঙ্গলবার গাজোলে বিজেপির সমাবেশে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তার হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্য মহিলারা সুরক্ষিত নন। পাল্টা উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও সদ্য জোড়াফুল শিবিরে সামিল সায়নী।


একটি মিম শেয়ার করে যোগীকে নিশানা করেছেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত। হ্যাশট্যাগে নুসরত লেখেন, ‘বিজেপি হটাও, বেটি বাঁচাও’।


নুসরতের এই বক্তব্য সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যোগীর আমলে উত্তরপ্রদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রচুর উন্নতি হয়েছে। জঙ্গলরাজ থেকে সুরাজ এনেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেখে আসতে পারেন নুসরত। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে যোগীর বলার হক রয়েছে। নুসরত বরং বসিরহাটের অবস্থা দেখুন। আব্বাস সিদ্দিকিরা একজোট হয়ে লড়লেও কিছু হবে না।


আসন্ন নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়বে কংগ্রেস ও আইএসএফ। এই জোট বিজেপির পথ কঠিন করে তুলবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা ১৮ টি আসন জিতেছি নিজেদের শক্তিতে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন বিজেপি করেছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।