গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। শাল নদীর তীর থেকে দেহ উদ্ধার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের। মত্ত অবস্থায় জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, অনুমান পুলিশের।


সোমবার রাত থেকে বিজেপি কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলে খোঁজ মিলল। তবে, প্রাণহীন অবস্থায়। ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে, বীরভূমে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। দলের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় থানা চত্বরে ঢুকে প্রতিবাদ মিছিল করলেন বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে শালনদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়, ইলামবাজারের নাদাস গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৪-এর বাপি আঁকুড়ের মৃতদেহ। বিজেপির অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তৃণমূল।


বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, ‘‘খেলা শুরু করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। ভোটের আগে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে বিজেপির ওই সক্রিয় কর্মীকে।’’


ইলামবাজার থানায় ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। খুনের অভিযোগে থানা চত্বরে ঢুকে মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। যদিও ঘটনায় রাজনৈতিক-যোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।


পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মত্ত অবস্থায় জলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


রাজ্যে ভোটের মুখে এই ঘটনা ঘিরে দানা বেঁধেছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাকযুদ্ধ দেখা গিয়েছে। গত ডিসেম্বরেই পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলিতে একটি পুকুর থেকে এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক উত্তাপ। খুনের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যদিও তৃণমূল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।


গত ডিসেম্বরে কোচবিহারের তুফানগঞ্জেও এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। একটি স্কুলবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। এই ঘটনাতেও তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। ঘটনায় তাদের কোনও যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তৃণমূল।