কলকাতা : আজও আড়াই লাখের বেশি সংক্রমণ দেখেছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে আর ভোটবঙ্গে বড় জমায়েত নয়। এমনই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। পরিবর্তে আগামী দফাগুলিতে ছোটো ছোটো সভা করা হবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেখানে পাঁচশো জন মতো জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে।


সবে পাঁচ দফার ভোট মিটেছে। এখনও তিন দফা বাকি। এদিকে দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । গত ২৪ ঘণ্টাতেও ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ জন আক্রান্ত হয়েছে ৷ মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনের ৷ এই পরিস্থিতিতে ভোট ঘিরে বড় বড় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। 


সেকথা মাথায় রেখেই বড় সভা, মিছিল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছোটো ছোটো সভা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভাগুলিতে পাঁচশো জনকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।


এর পাশাপাশি করোনা মোকবিলায় ৬ কোটি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দল। এছাড়া দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার আহ্বানে দেশের সব রাজ্যে কোভিড ১৯ হেল্প ডেস্ক এবং কোভিড হেল্প লাইন চালু করতে চলেছে বিজেপি। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে- আপনা বুথ, করোনা মুক্ত।


এদিকে গতকালই ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা শহরে আর ভোট প্রচার করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধুমাত্র ২৬ এপ্রিল তিনি একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন । করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি বিভিন্ন জেলায় যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। 


এছাড়া করোনা আবহে আগেই রাজ্যে সভা-সমাবেশ বাতিল ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা ছিল তাঁর। 


সিপিএমও আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কোনও বড় জমায়েত তারা করবে না।