রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভাঙড় থেকে ফের উদ্ধার হল বোমা। ভোটের মুখে পরপর দু’ দিনে একই এলাকা থেকে প্রায় তিনডজন বোমা উদ্ধার হল। গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চালতাবেড়িয়া এলাকায় আবারও অভিযান চালায় কাশীপুর থানার পুলিশ। খালপাড়ে একটি বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ১৩টি তাজা বোমা। 


এর আগে রবিবার মাঝরাতে চালতাবেড়িয়ার একটি বাঁশবাগান থেকে ২১টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাশীপুর থানা এলাকার চালতাবেড়িয়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। একটি বাঁশবাগানের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ২১টি তাজা বোমা। বোমাগুলি বাঁশপাতা চাপা দেওয়া ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভোটের আগে এলাকায় বোমা মজুত করা হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


এই প্রথম নয়। গত ৯ তারিখ কাশীপুরের পাকাপোল এলাকায় একটি বাঁশবাগান থেকে ১৭০টি বোমা উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা। চলে আসেন সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরাও। 


বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড সমাবেশের দিন ভাঙড়ে তৃণমূল ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর করা হয় পঞ্চায়েত অফিসে।


তার কয়েরদিন ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীর বাড়ি থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই দিনই ভাঙড়ের কাজদিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই রেশ কাটার আগেই ভাঙড়ের কাশীপুরে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা। যা নিয়ে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলে বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেছিলেন, তৃণমূল সব সময়ই এরকম, এর আগেও করেছে, তৃণমূলের লোকেরাই এসব করছে, আমরা নির্বাচন কমিশনে বিষয়টা জানাব।


বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল আবার আইএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছে। ভাঙড়ের অন্তর্গত ভগবানপুরে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা বলেছিলেন, সিপিএম এতদ্নি নিষ্ক্রিয় ছিল, এখন ওরাই আইএসএফ দিয়ে এসব করছে, তারাই ভোটের আগে গন্ডগোল পাকাতে বোমা মজুত করছে। 


চতুর্থ দফায় অর্থাৎ ১০ এপ্রিল ভাঙড়ে ভোট।  তার আগে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায়।