মাথাভাঙা: নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হতেই আজ শীতলকুচিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মাথাভাঙা দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে তৈরি হয় শহিদ মঞ্চ। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফার ভোটে নিহত তরুণ আনন্দ বর্মনের মামা ও দাদুও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।


নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার পর ঘটনায় সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, সবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। আনন্দ বর্মনের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেছি। নির্বাচন মিটে গেলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা তদন্ত করার দরকার, তা করব। দোষীদের সাজা হবে। আনন্দকে কারা মেরেছে, সেই খুনীদের আমি ধরবই। পাঁচটা শহিদ বেদি তৈরি হবে। শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে আমি আসব।


মমতা বলেছেন, আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়া দরকার। যারাই দোষী, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমি করবই। নির্বাচন মিটে গেলে রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতদের পরিবার ন্যায্য বিচার পাবে। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। দোষী যত বড়ই কেউ হোক না কেন, বিচার তাদের হবেই।"


এক নিহতের পরিজন বলেছেন, তৃণমূল নেত্রী দেখা করেছেন। সান্ত্বনা দিয়েছেন। ভরসা দিয়েছেন। নির্বাচন মিটে গেলে আমাদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।


শনিবার চতুর্থ দফার ভোটের সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে ঝরে গেছে চার চারটি তরতাজা প্রাণ।তাদের পরিবারের সঙ্গেই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর পরই শীতলকুচি যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেদিন রাতেই নির্বাচন কমিশন জানায়,আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।


জোড় পাটকি গ্রামের একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। শীতলকুচি বিধানসভা আসনেরই অন্য একটি বুথে ভোটের লাইনে গুলি চালনায় আনন্দ বর্মন নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়।