করুণাময় সিংহ, মালদা: ভোট ঘোষণার পরেও রাস্তার শিলান্যাস ঘিরে বিতর্কে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগেই রাস্তার টেন্ডার হয়, কাজ দেখতে যেতেই পারেন দলীয় নেতা।


বিধানসভা ভোট ঘোষণার পর চালু হয়ে গেছে আদর্শ আচরণবিধি। তারপরেও মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রাস্তার শিলান্যাস হল! পুঠিয়া গ্রামে ৭০০ মিটার এই রাস্তা ঘিরে ভোটের মুখে বিতর্কে তৃণমূল। বুধবার রাস্তার শিলান্যাস করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী তথা তৃণমূল নেতা আশরাফুল হক।


তৃণমূল নেতা, হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা আশরাফুল হক জানান, ‘‘এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাস্তা, সেই রাস্তার শিলান্যাসের জন্য এসেছি, এলাকার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তৃণমূলকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, সেই কথা রাখলাম ৷’’


তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্রবাচনী আচরণবিধি-ভঙ্গের অভিযোগে সরব বিজেপি। মালদার বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান, ‘‘ভোট ঘোষণার পর রাস্তার কাজের সূচনা বা উদ্বোধন করা যায় না, এরপরও জোর করে শিলান্যাস করেছে, আমরা কমিশনকে জানাব, ভোটের পর তো থাকবে না তাই কাজ শুরু করে দিয়ে কাটমানি খাচ্ছে ৷’’


যদিও তৃণমূলের দাবি, ভোট ঘোষণার আগেই টেন্ডার ডাকা হয়। তাই বিধিভঙ্গ হয়নি। মালদার তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার জানান, ‘‘এতে বিধিভঙ্গের কিছু নেই, সমস্ত টেন্ডার নির্বাচন ঘোষণার আগে হয়েছে, কোনও নেতা সেই রাস্তার কাজ দেখতে যেতেই পারেন, বিজেপি অভিযোগ জানালে জানাক ৷’’


 


গত ৬ মার্চ বারাসাত পুরসভার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত্‍ চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠক করায় পুর প্রশাসক, কার্যনির্বাহী আধিকারিককে শো-কজ করেছে কমিশন ৷ অভিনেত্রী লাভলি মৈত্রকে তৃণমূল প্রার্থী করায় তাঁর স্বামী তথা হাওড়া গ্রামীণের এসপি সৌম্য রায়কে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷ এই প্রেক্ষিতে ভোট ঘোষণার পর মালদায় রাস্তার শিলান্যাস ঘিরে নতুন করে বিতর্ক।