সন্দীপ সরকার, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: জোট নিয়ে এই প্রথম আসন ধরে আলোচনা করলেন বাম-কংগ্রেস নেতারা। আজ ২৩০টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়া জেলার আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।


সংখ্যা নয়, রবিবারই প্রথম আসন ধরে ধরে আলোচনা করলেন বাম-কংগ্রেস নেতারা। কোচবিহার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর পর্যন্ত ২৩০টি বিধানসভা আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বামেরা ১৩১ এবং কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়বে। তবে, এর মধ্যেও কয়েকটা আসন নিয়ে টানাপোড়েন আছে।

এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, ‘২৩০টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাকি ৬৪টি আসন নিয়ে আলোচনা পরে হবে। এই মাসের মাঝামাঝি বাকি আসনগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’

মূলত মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ার আসন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই দুই জেলায় শক্তিশালী কংগ্রেস। ফলে, এখানে বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না তারা।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন,  মুর্শিদাবাদে কিছু আসন আছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে আরএসপি লড়াই করছে। আরএসপি-কে অন্তত একটি আসন ছাড়া উচিত। মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়ার কথা শুনেই উত্তেজিত হন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। এরপরই অধীর চৌধুরী বলেন, আপনারা প্রস্তাব দিন, আলোচনা করে দেখা হবে। পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও কিছু আসনে রদবদল চায় কংগ্রেস।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘আলোচনা অসম্পূর্ণ আছে। চার ভাগের তিন ভাগ সমঝোতা হয়েছে। বাকিটা আলোচনার মাধ্যমে হবে।’

এদিকে, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে সামিল হতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তারা ৪৪টি আসন দাবি করেছে। সূত্রের খবর, রবিবার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠকে এই বিষয়েও আলোচনা হয়।

এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমরা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে বোঝাপড়া চাই। তারা একটা নতুন দল, তাদের চাহিদা মতো আসন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সমঝোতা চাই। বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দাবি করতে হবে। আমরা তো বাম শরিক বা কংগ্রেসের ক্ষতি করতে পারব না।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট আমাদের লিখিতভাবে কিছু জানায়নি। দেখতে হবে জোটে যারা আসবেন তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ কি না।’

রাজ্যের নেতাদের নিয়ে এদিন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক ও নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দ্রুত আসন সমঝোতা করতে হবে। জেলায় জেলায় কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্প হবে। ভোটের প্রচারে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আসবেন।

এই প্রেক্ষাপটে, বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রবিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি তো দেখলাম মান্নান চিঠি দিয়েছে। জোট হোক আর যাই হোক, এখানে মুখ একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

অন্যদিকে, রবিবার শ্যামবাজার থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বাইক মিছিল করে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন।