কোচ রবি ফাওলার নির্বাসিত থাকায় এদিন মাঠে ছিলেন না। তাঁকে ছাড়াই দারুণ জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন দলে একাধিক পরিবর্তন করেন সহকারী কোচ টনি গ্র্যান্ট। নিয়মিত গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারের বদলে সুযোগ দেওয়া হয় অভিজ্ঞ সুব্রত পালকে। রক্ষণেও বদল হয়। এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি স্টপার স্কট নেভিল। চোট সারিয়ে দলে ফেরেন রাজু গায়কোয়াড়। এদিন প্রথমবার এস সি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার সুযোগ পান সার্থক গোলুই ও সৌরভ দাস। এছাড়া প্রথম একাদশে ছিলেন ব্রাইট এনোবাখারে, জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমা, নারায়ণ দাস, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় ও অধিনায়ক ড্যানি ফক্স।
নতুন চেহারার ইস্টবেঙ্গল এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে। ৬ মিনিটেই স্টেইনম্যানের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নারায়ণের কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন স্টেইনম্যান। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৬৮ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন পিলকিংটন। স্টেইনম্যানের থ্রু থেকে ডানপায়ের জোরাল শটে গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের ২২ নম্বর জার্সিধারী। ৮৩ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে ব্যবধান কমান পিটার হার্টলে।
এদিন বড় ব্যবধানে জয়ের সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের শেষদিকে রাজুর লম্বা থ্রো থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও, হেড গোলে রাখতে ব্যর্থ হন স্টেইনম্য়ান। ৪৭ মিনিটে নারায়ণের ফ্রি-কিকে পা বা মাথা ছোঁয়াতে পারলেই গোল করতে পারতেন পিলকিংটন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। ৫৮ মিনিটে নারায়ণের জোরাল শট বাঁচিয়ে দেন জামশেদপুরের গোলকিপার রেহেনেশ। ৭৯ মিনিটে পিলকিংটনের শট পোস্টে লাগে। ফলে এই ম্যাচে আর গোল হয়নি।
আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ শুক্রবার, প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। তারপর ১৯ তারিখ কলকাতা ডার্বি। সেদিন মুখোমুখি হবে এস সি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে দু’দলের সমর্থকরাই।