সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সামনে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ভোটের ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে যুযুধান দুই পক্ষ -- তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। প্রায়ই, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় দুই শিবিরই।


আর সেই তালিকায় সর্বেশেষ সংযোজন করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রীর নিশানায় এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছাড় পেলেন না রাজ্যপালও।


প্রথমে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে আক্রমণ করা দিয়ে শুরু করেন তৃণমূল নেতা। বলেন, নাড্ডাকে দিয়ে কিছু হবে না। যতবার নাড্ডা আসবে, বিজেপির জন্য গাড্ডা তৈরি হবে।


এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেন মদন। বলেন, মোদি-অমিত শাহ যদি ডেইলি প্যাসেঞ্জারি না করাতে পেরেছি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। দিল্লি ছেড়ে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে হবে।


এরপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা। ভোটমুখী বাংলায় এবার সেই সিন্ডিকেটের প্রসঙ্গ গতকাল শোনা যায় রাজ্যপালের মুখে। বলেন,,দুটো ইট, এক বস্তা সিমেন্ট কিনতে গেলেও আপনাকে সিন্ডিকেট ধরতে হবে। কী চলছে রাজ্যে? সিন্ডিকেটের দেওয়া এক টুকরো কাগজ দেখিয়ে গোটা রাজ্যে কাজ চলছে।


এই নিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন মদন। বলেন, রাজ্যপালের পরিচিত কেউ হয়ত আছে। তিনি জানেন। আমি তো জানি না। গোলাপী-নীল স্লিপ বোধহয় রাজ্যপালের কাছ থেকেই পাওয়া যায়।


এরপরই রাজ্যপালকে 'পাগল' উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, 'জল পড়ে পাতা নড়ে পাগলা ধনকড় ট্যুইট করে..।'


এর আগে, গতকাল তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেছিলেন, ভাটপাড়া উপ নির্বাচনের সময় তত্কালীন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাকে হারিয়েছিলেন অর্জুন সিং।


যা নিয়ে এদিন মদনকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ। বলেন, শাসকদলের নেতারাই বলতে পারবেন, কীভাবে পুলিশকে টাকা দিয়ে ভোটে জেতা যায়।