নন্দীগ্রাম: আজ রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্বে সকলের নজর নন্দীগ্রামে। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, বামফ্রন্টের মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত পোলিং এজেন্টরা বসতে পেরেছেন। এখনও পর্যন্ত যে কটা জায়গায় গিয়েছি, ভোট ঠিকঠাক হচ্ছে। সব দলেরই পোলিং এজেন্ট বসেছে। নিরাপত্তা আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। তবে যাঁরা ভোটার, সাধারণ মানুষ, তাঁদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।'

পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বাম প্রার্থী। মীনাক্ষি বলছেন, 'গতকাল রাত থেকে হুমকি দেওয়া চলছে। পোলিং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, সব জায়গাতেই আমাদের পোলিং এজেন্ট বসেছেন। দু-একটা জায়গা থেকে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। দেখা যাক কী হয়।'

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মীনাক্ষির সামনে দুই হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ। তিনি বলছেন, 'যে লড়ছে লড়ুক। মানুষ লড়ছে। ভোট দিচ্ছে। গত দুদিন ধরে নন্দীগ্রামের যা আবহ দেখেছি, তাতে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে মানুষ নিশ্চিত। মানুষ ভোট দিচ্ছেন।'

একঝলকে দ্বিতীয় দফার ভোট-

৪ জেলার ৩০ আসনে ভোট। মোট প্রার্থী-১৭১ জন।

কোন কোন জেলার কটি বিধানসভায় ভোট- পশ্চিম মেদিনীপুর (৯), পূর্ব মেদিনীপুর (৯), বাঁকুড়া (৮) ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৪)।

 

পশ্চিম মেদিনীপুরের যে আসনগুলিতে-

খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর।

পূর্ব মেদিনীপুর যে আসনগুলিতে ভোট –

তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর।

বাঁকুড়ার যে ৮ আসনগুলিতে ভোট –

তালড্যাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা যে  আসনগুলিতে ভোট-

গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা ভোট শুরুর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। ৪ নম্বর গোলাড় অঞ্চলের দাদপুরে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুই। বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে খেতে বসেছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ৩০-৩৫ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী  তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।