রুমা পাল, কলকাতা: একসঙ্গে কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরাল নির্বাচন কমিশন। এই তালিকায় ভবানীপুর, কলকাতা বন্দর, শ্যামপুকুর, বেলেঘাটার মতো কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সূত্রের দাবি, ৮ জন রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। যদিও, কমিশন বলছে, এটা নেহাতই রুটিন বদলি।
কলকাতার ভোটের আগে কার্যত নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। এক লপ্তে কলকাতার ৮ বিধানসভা কেন্দ্রের ৮ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হল। কিছুদিন আগেই বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার-কে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত ৩০মার্চ অপসারিত করা হয় বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানি। এবার সরানো হল ভবানীপুর, এন্টালি, জোড়াসাঁকো, কলকাতা বন্দর, চৌরঙ্গী, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া এবং বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের।
কিন্তু, কেন একসঙ্গে ৮ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরানো হল? সূত্রের দাবি, এই ৮ রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে,পক্ষপাতিত্ব, বিরোধীদের অভিযোগে গুরুত্ব না দেওয়ার মতো বিষয়ে কমিশনে নালিশ জানানো হয়েছিল। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। সূত্রের দাবি, ৮ রিটার্নিং অফিসারকে শোকজও করা হয়। তবে তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন।
তাই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। যদিও কমিশনের বক্তব্য, রুটিন বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আগামী ২৬ এপ্রিল, সোমবার সপ্তম দফা এবং ২৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, অষ্টম দফায়, কলকাতার মোট ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ।
এর আগে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদ থেকে সরানো হয় জাভেদ শামিমকে। তাঁর জায়গায় বসানো হয় দমকলের ডিজি জগমোহনকে। জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দেওয়া হয় দমকলের ডিজির দায়িত্বে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয় নীরজনয়নকে।
এরপর প্রথম দফা ভোটের ঠিক আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার, এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককেও সরিয়ে দেয় কমিশন। দ্বিতীয় ভোটের আগে অপসারিত মহিষাদলের সিআই। হলদিয়ার এসডিপিও-কেও সরাল নির্বাচন কমিশন। বিচিত্রবিকাশ রায়ের জায়গায় নতুন সিআই শীর্ষেন্দু দাস। বরুণ বৈদ্যের জায়গায় নতুন এসডিপিও উত্তম মিত্র।