কলকাতা: পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমল প্রার্থীর মনোনয়ন সংক্রান্ত জটিলতায়  নতুন মোড়। মনোনয়ন দিতে পারবেন প্রার্থী, হাইকোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা নির্বাচন কমিশনের। আদলতের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে তাদের কথা শোনা হয়নি সিঙ্গল বেঞ্চে, জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। আজই শুনানি।উল্লেখ্য, আজই প্রকাশিত হবে মনোনয়নের তালিকা।


পুরুলিয়ার জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পত্রে ত্রুটি থাকায় তা বাতিল করা হয় বলে কমিশন দাবি করে। প্রথম দফায় ২৭ মার্চ জয়পুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এক্ষেত্রে মনোনয়ন পেশের শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে আর নতুন করে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব ছিল না। কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল প্রার্থী।শেষপর্যন্ত আদালতের রায়ে স্বস্তি ফেরে তৃণমূল শিবিরে।


তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। উজ্জ্বল কুমারের আবেদনের শুনানিতে  হাইকোর্ট বলে, ‘যে কারণে মনোনয়ন বাতিল, তা নগণ্য, উপেক্ষা করা যায়’।হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কমিশনকে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে হবে।


 


আগামী ২৭ মার্চ, প্রথম দফায় পুরুলিয়ার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট।মনোনয়ন পেশের শেষদিন ছিল ৯ মার্চ।  মনোনয়ন জমা দেন ১৩ জন।  স্ক্রুটিনি হয় ১০ মার্চ, বুধবার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয় তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের  মনোনয়ন।    কিন্তু কেন বাতিল হয় উজ্জ্বলের মনোনয়ন?  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তৃণমূল প্রার্থীর হলফনামায় ত্রুটি থাকার কারণে মনোনয়ন বাতিল করা হয়।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশন যে কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন বাতিল করেছে, তা সামান্য কারণ।  উপেক্ষা করলে অসুবিধা নেই।  যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, তা গ্রহণ করতে  হবে। 


এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন।