উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: তৃণমূলের ২৯১টি আসনের প্রার্থীতালিকায় এবার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ১১৪ জন নতুন মুখের। আর যে দলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধতন্ত্রকে আঁকড়ে থাকার অভিযোগ সবথেকে বেশি, সেই বামেরাও এবার ঝুঁকল তরুণ মুখের দিকে।


 


প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য শুক্রবার যৌথ তালিকা ঘোষণা করে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সংযুক্ত মোর্চা। সেখানে নতুনদের পাশাপাশি জায়গা পেয়েছেন পুরনো এবং দুঁদে নেতারাও। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম অবশ্যই সুশান্ত ঘোষ।


 


তাঁকে এবার শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্যজুড়ে পরিবর্তনের ঝড়ের মধ্যেও গড়বেতা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সুশান্ত।


 


সে বছরই কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকতে নিষেধ করে আদালত। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি তিনি।


 


শেষমেশ ন’বছর পর সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র নিয়ে জেলায় ফিরেছেন সুশান্ত। এবার শালবনিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তিনি। শুক্রবার প্রথম দু’দফার ভোটের তালিকা ঘোষণা করেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা।


 


প্রথম দু’দফায় ৬০টি আসনে ভোট। এর মধ্যে ৩৯টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছেন ১৩টি আসনে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রার্থী ৫টি আসনে। ৩টি আসনে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। এই তিনটি আসন হল নন্দীগ্রাম, পিংলা এবং এগরা।


 


নন্দীগ্রামে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল আইএসএফ-এর। পিংলা এবং এগরা কংগ্রেসকে ছাড়ার কথা ছিল বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু, এই তিনটি আসনে এদিন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এগরা আমাদের দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে কেন হল, বিমান বসুর ওপর আস্থা আছে। মনে করি, ঠিকমতো হয়ে যাবে ৷


 


ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সভাপতি শিমুল সোরেন বলেন, কংগ্রেস এখনও লিখিতভাবে কিছু দেয়নি। জানাক। তারপর কী করার করব ৷


 


তবে, কে কোন আসনে লড়বেন, তা বিমান বসু ঘোষণা করলেও কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর জন্য বরাদ্দ আসনগুলিতে প্রার্থী কে, তা তিনি ঘোষণা করেননি। নিজেদের প্রার্থীদের নাম আলাদা করে ঘোষণা করবে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে প্রার্থী ঘোষণার পরও  জোটে জটের আভাস একটু হলেও থেকেই গেল।