গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বিদায়ের পথে শীত... বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ভোটের আগে, ফের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল বীরভূমে।


বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল, লালমাটির দেশ বীরভূম। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। বুধবার রাতে, দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় দলের পতাকা টাঙাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, তাঁদের পতাকা টাঙাতে বাধা দেয় তৃণমূল। প্রতিবাদ করলে, বোমাবাজি করা হয় বলে দাবি। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সুতলি।


শুধু তাই নয়, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই এই হামলা হয় বলে দাবি বিজেপির। বীরভূমের পুঙ্গলাপুরের বিজেপির বুথ সভাপতি কিরীটি বাগদি জানান, ‘‘গতকাল সন্ধ্যায় যখন আমরা পতাকা দেখানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম তখন প্রধানের দুই ছেলে ও তাঁর বন্ধু এসে আমাদের পতাকা টাঙ্গাতে বাধা দেয় এবং বলে গ্রামের লোককে জিজ্ঞাসা না করে পতাকা টাঙ্গানো যাবে না। কিন্তু আমরা বলি, গ্রামের লোকের সহযোগিতায় আমরা বিজেপির পতাকা টাঙাচ্ছি। কিন্তু তারপর তারা বালতিতে করে রাখা বোমা ছুড়তে থাকে। আমরা প্রাণ বাঁচিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলাম।’’


এদিকে বোমাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। উল্টে তাঁদের দাবি, সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে চকোলেট বোমা ফাটানো হয়েছে। তৃণমূল নেতা বিনয় বাগদি জানান, ‘‘এই অভিযোগ মিথ্যা। আমার ছেলেরা কেউ ঘরে ছিল না। আর পুজোর সময় হয়তো কেউ চকলেট বোম ফাটিয়েছে। পতাকা টাঙাতে বাধা বা বোমাবাজির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’’ উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ।