গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: মাড়গ্রাম ব্লকের বুদ্ধিগ্রাম অঞ্চলের ধরলা গ্রামের মেঘনাদ প্রামানিক(১৭)পুকুরের জলে ডুবে মারা গেলে রামপুরহাট হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর তার মরদেহ নিজে গাড়ি চালিয়ে ধরলা গ্রামে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে এলেন হাসনের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।


ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ ভ্যানে করে মৃতের বাড়িতে পৌঁছে দিলেন বীরভূমের হাসন কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টল রশিদ। তাঁর দাবি, প্রচারে বেরিয়ে খবর পান, মাড়গ্রাম ব্লকে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোরের। রামপুরহাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর নিজেই ভ্যান চালিয়ে মৃতের ধরলা গ্রামের বাড়িতে দেহ পৌঁছে দেন কংগ্রেস প্রার্থী। ভোটের আগে নাটক, কটাক্ষ তৃণমূলের। 


ভোটের সময় জোড় হাত করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট ভিক্ষা! নির্বাচনের মুখে এটাই দস্তুর!  কিন্তু ছবিটা বদলে গেল বীরভূমের ধরলা গ্রামে এসে! প্রচার শিকেয় তুলে, বিপদের মুখে পড়া পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বীরভূমের হাসন কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।হাইভোল্টেজ মহাযুদ্ধের বাংলায় এ যেন মানবিকতার এক টুকরো ছবি!


স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার জলে ডুবে মৃত্যু হয় মাড়গ্রামের ধরলা গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছরের কিশোর মেঘনাদ প্রামাণিকের। শনিবার রামপুরহাট হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয় তার। কিন্তু হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করার ক্ষমতা ছিল না মৃত কিশোরের পরিবারের। প্রচারে বেরিয়ে লোক মারফত এখবর পান মিল্টন রশিদ। এরপরেই প্রচার স্থগিত রেখে, নিজে মোটরচালিত ভ্যান চালিয়ে মর্গ থেকে মৃত কিশোরের দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ বলেন, ‘‘আমি একজন বিধায়ক আমি চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার জন্য ৷’’


এভাবে পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাসনের কংগ্রেস প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মৃতের পরিবার। তবে তাঁর এই উদ্যোগকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে নাটক, ভোটে আমরাই জিতব, এসব করে কিছু হবে না ৷’’


মিল্টন রশিদ জানান, ‘‘আমি গ্রামের ছেলে, যারা নাটকের কথা বলে তারা শহরের লোক, তাদের কাছে নাটক হতে পারে, ভ্যান চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কোনও নাটক নয় ৷’’


২০১৬-তে প্রথমবার বিধায়ক হওয়া মিল্টন রশিদ এবারও ভোটের ময়দানে। তাঁর লড়াই তৃণমূলের অশোক চট্টোপাধ্যায় আর বিজেপির নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।