কলকাতা ও নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে ভোট নিয়ে আজ দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। দুপুর তিনটের সময় বসবে ওই বৈঠক। রাজ্য বিজেপির সঙ্গে জড়িত পদাধিকারীদের ওই বৈঠকে থাকার সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও।


ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জারি হতে পারে ভোটের বিজ্ঞপ্তি। জানুয়ারিতেই আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যেই ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে। ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈনের বঙ্গ সফরের শেষ দিনে এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।


শুক্রবারই প্রকাশিত হতে চলেছে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তবে এরপরেও ভোটে নাম তোলা বা সংশোধনীর কাজ চলবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মোট নির্বাচনী বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯০৩টি।


কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে সেই বুথের সংখ্যাই ১ লক্ষ পেরিয়ে যেতে পারে। এদিনই দু’দিনের বঙ্গ সফর সেরে দিল্লি চলে যান ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার।


সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজ্যে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।


সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে।


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে বা শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য থাকছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুবিধা। তবে এক্ষেত্রেও থাকছে কিছু নিয়ম।


নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক, বিশেষভাবে সক্ষম, করোনা আক্রান্ত, করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিত্‍সাধীন বা আইসোলেশনে রয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই পোস্টালে ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।


কীভাবে হবে গোটা প্রক্রিয়া? ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাঁচ দিনের মধ্যে বুথ লেভেল অফিসার BLO-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন।


এরকম কেউ থাকলে তাঁকে ১২-ডি ফর্ম দেওয়া হবে। এরপর ভোটের মনোনয়ন জমার শেষ দিন থেকে ভোটগ্রহণের আগের দিন পর্যন্ত সময়ের যে কোনও এক দিন এক অফিসার-সহ ২ জন নির্বাচন কমিশনের কর্মী, নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে সংশ্লিষ্ট বাড়িতে যাবেন।


এবং নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।


গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং করোনা আবহে ভোট পরিচালনার জন্য স্বাভাবিকভাবেই বেশি বুথের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে বেশি সংখ্যায় ভোটকর্মীরও।


সেদিকে নজর রেখে বৃহস্পতিবার, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, পরিবহণ-সহ একাধিক দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আমফানের পর রাজ্যে কত স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত, তা জানতে চাওয়া হয় শিক্ষাসচিবের কাছে। উত্তরে শিক্ষাসচিব জানান, এই মুহূর্তে সুন্দরবন অঞ্চলে ২৫০ স্কুল এখনও ক্ষতিগ্রস্ত।


শেষ অবধি আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়, সেটাই এখন দেখার।