অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হাতে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। তবে ব্যাঙ্কের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে আছে কয়েক লক্ষ টাকা। হলফনামা দিয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির কী খতিয়ান দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেন রায়? আসুন দেখে নেওয়া যাক। 


এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম আসনে ত্রিমুখী লড়াই। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেন রায়। সাঁওতালি ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী। প্রচারে ঝড় তুলেছে সব পক্ষ। 


গত ৮ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মধুজা সেন রায়। মনোনয়নের সঙ্গে দিয়েছেন হলফলনামা। সেই হলফনামা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সিপিএম প্রার্থীর হাতে নগদ ছিল ৫০০ টাকা। ফিক্সড ডিপোজিট ও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ঝাড়গ্রামের সিপিএম প্রার্থীর ব্যাঙ্কে জমা আছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১১টাকা। বন্ড, শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ করেননি মধুজা। তবে আছে জীবনবিমা। এলআইসি-তে থাকা বিমার অঙ্ক ৪ লক্ষ টাকা।


হলফনামা অনুযায়ী, মধুজার কোনও গাড়ি নেই।  আছে ৫০ গ্রাম সোনার গয়না। যার বাজারমূল্য ২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রামের সিপিএম প্রার্থীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১১ টাকা।  শুধু অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দেওয়াই নয়, হলফনামায় সিপিএম প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। অর্থাত্‍, তাঁর নাম থাকা ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১১ টাকার অস্থাবর সম্পত্তিই তাঁর মোট সম্পত্তি।


অন্যদিকে, হলফনামায় বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর নামে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা রয়েছে।


কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঝাড়গ্রামে যাননি তিনি। খড়গপুর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসভায় বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামে না গেলেও বাঁকুড়ার রানিবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের খাতরায় নির্বাচনী সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া এই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেই জিতেছে বিজেপি। সেই ফল একুশের ভোটে বাড়তি অক্সিজেনের কাজ করবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের সূচনা হল জঙ্গলমহল থেকে।