কলকাতা: চতুর্থ দফা ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত কসবা ৷ কসবার ধানকল এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এদিকে সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই কসবার বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁয়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও ওঠে ৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি ৷ পাল্টা ইন্দ্রনীল খাঁ অভিযোগ করেন, কসবার একটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না তৃণমূল ৷


শনিবার সকাল ৭টায় চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কসবায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশও মোতায়েন ছিল। তার মধ্যেই সকাল সকাল তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে ঝামেলা বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের সকালে কসবা এলাকার বস্তিতে প্রচারে নামেন ইন্দ্রনীল। সেখানে গিয়ে নিজের পকেট থেকে বেশ কয়েক জনের হাতে ১০০০ টাকা করে গুঁজে দেন তিনি। এই অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ ৷


কসবায় বিজেপি কর্মীর দোকান ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশকে ফোনে  হুঁশিয়ারি সিপিএম প্রার্থীর। কমব্যাট ফোর্সকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা! পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থীও। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।


ভোটের আগের দিন, শুক্রবার দুপুর থেকেই যতকাণ্ড কসবায়। বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ! বাদ গেল না স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িও ৷ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান। পুলিশকে ফোনে হুঁশিয়ারি সিপিএম প্রার্থীর। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। বিজেপির অভিযোগ, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় এক কর্মীর দোকান ভাঙচুর করে তৃণমূল। পরে ভাঁড়পট্টি এলাকায় একাধিক বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ!


খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে এলাকায়। এলাকা ছেড়ে পালায় হামলাকারীরা! ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন কসবার জোটসমর্থিত সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষ। ফোনে পুলিশকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তিনি ৷ ঘটনাস্থলেও পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা হয় সিপিএম প্রার্থীর ! এলাকায় আসেন বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁও। তাঁর সঙ্গেও পুলিশের বচসা বাধে ৷ ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করে সিপিএম ও বিজেপি।