WB Election 2021 LIVE Updates: নন্দীগ্রামে মমতার কনভয় লক্ষ্য করে ফের জয় শ্রীরাম স্লোগান
West Bengal Assembly Election 2021: নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে ফিরেছে ১৪ বছর আগেকার গুলিকাণ্ডের স্মৃতি। তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের চরম সংঘাত বেধেছে। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামে ভোটের আগে শিল্পায়ন ইস্যুতে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
ভোটের ঠিক আগে অপসারিত মহিষাদলের সিআই। হলদিয়ার এসডিপিও-কেও সরাল নির্বাচন কমিশন। বিচিত্রবিকাশ রায়ের জায়গায় নতুন সিআই শীর্ষেন্দু দাস। বরুণ বৈদ্যের জায়গায় নতুন এসডিপিও উত্তম মিত্র। ভোটের কাজে পক্ষপাতের অভিযোগে অপসারিত। ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না ২ পুলিশ অফিসার।
গোসাবার বিপ্রদাসপুরে বিজেপি নেতাকে মারধর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির। এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত বিজেপি নেতা।বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, দাবি তৃণমূলের।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় লক্ষ্য করে দফায় দফায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। টেঙ্গুয়া, বলরামপুরে ফের মমতার কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এর আগে এর আগে রেয়াপাড়া, মহম্মদপুরবাজারেও তৃণমূলনেত্রীর কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান।
নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থীর রোড শোয়ে হামলার অভিযোগ। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের রোড শোয়ে হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সংযুক্ত মোর্চার। গড়চক্রবেড়িয়ায় যাওয়ার পথে ভূতার মোড়ে ‘হামলা’। সিপিএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মীনাক্ষীর রোড শোয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে সামনাসামনি তৃণমূল-বিজেপি। মমতার কনভয় যাওয়ার সময় জয়শ্রীরাম স্লোগান। তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মমতার অভিযোগ, ‘দিল্লি থেকে এক হাজার নেতা টাকার বাক্স নিয়ে বসে আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ পুলিশের গাড়ি করে টাকা পাঠানো’
অমিত শাহর কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘কনভয়ে ৩০টির বেশি গাড়ি কেন ? সঙ্গে বন্দুক, গোদা গোদা দেখতে। নন্দীগ্রামের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে গুণ্ডা দিয়ে। আমদাবাদ, গোকুলনগরে, রেয়াপাড়ায় ভয় দেখিয়েছে। রাতে গুণ্ডা ঢুকছে। আমি ভোটার, আমি থাকবই। গুণ্ডারা গুণ্ডামি করতে এলে মা-বোনেরা এগিয়ে আসুন। একজনের গায়ে হাত দিলে হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরোন। দেখতে চাই খেলায় কে হারে, কে জেতে।’
বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলেন, ‘আমার আহত হওয়ার পিছনে নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগতরা আছে।’
নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন নিয়ে বিজেপি প্রার্থী তথা একদা সহযোগী শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে মমতা বলেছেন, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় ‘পাশে ছিল না গদ্দাররা। যার বাড়ি থেকে গুলি চলল, এখন গদ্দারের ডান হাত। গোকুলনগর দখল করবে বলে গদ্দার বলছে। গুণ্ডাদের শায়েস্তা করতে হবে।’
বাসুলিচকের সভা থেকে মমতা বলেছেন, ‘ভবানীপুরের মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছেন। এবার ওই আসনে প্রার্থী হইনি।’
মমতা এবার নন্দীগ্রাম আসনে তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেছেন,‘ভুলতে পারি নন্দীগ্রাম, ভুলবো নাকো নন নন্দীগ্রাম।’
নন্দীগ্রামের বাঁশুলিচকে মমতার সভায় গান গাইলেন রাজারহাট-গোপালপুর আসনের তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মুন্সি।
গোসাবার জনসভায় অভিষেক বলেছেন, ‘বহিরাগতদের বাংলা ছাড়া করার লড়াই এই নির্বাচন। যাঁরা ভাবছে বাইরে থেকে এসে বাংলা দখল করব, তাঁদের বাংলা ছাড়া করবে মানুষ। তৃণমূলনেত্রী লড়াই করছেন। ২০১৯ সালে ১৮ আসন পেয়েছিল বিজেপি।
‘কিন্তু বিধানসভাওয়াড়ি ফলাফল অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১টির মধ্যে ৩১ আসনই পায় তৃণমূল। মমতা যা বলেন করে দেখান’।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় জনসভা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির জোকারদের লড়াই। তৃণমূল ও বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে বাংলার মানুষ। আক্রমণ অধীর চৌধুরীর।
মমতা বলেছেন, ভোট শেষে ভিন রাজ্যের পুলিশ থাকবে না। তারপর পাণ্ডাদের কীভাবে বের করে দিতে হয় তা জানে বাংলার মানুষ। তিনি আরও বলেছেন, ভোট না দিয়ে কেউ ফিরবেন না। ইভিএম খারাপ থাকলে অপেক্ষা করুন।
রোড শো-র পর সোনাচূড়ায় মমতা বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামকে আমি মডেল নন্দীগ্রাম করে দেব। হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের মধ্যে ব্রিজ হবে’। তাঁর অভিযোগ, ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ এসে মানুষের ওপর অত্যাচার করছে।
নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
নন্দীগ্রামে ভাঙাবেড়ায় রোড শো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুইল চেয়ারে বসে রোড শো-তে অংশ নিয়েছেন তিনি।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। তুফানগঞ্জের মারুগঞ্জে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁর বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এর জেরে আজ সকালে মারুগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। পরে নাটাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবরোধ স্থলে গিয়ে বুঝিয়ে অবরোধ তোলেন। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজপির পাল্টা দাবি, তাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ তৃণমূল অস্বীকার করেছে।
খড়্গপুর সদরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের সমর্থনে রোড শো মিঠুন চক্রবর্তীর।
আজই নন্দীগ্রামে রোড শো করবেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তবে সেটা বিকেলে। তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদরে রোড শো মিঠুনের। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে রোড শো। তারপর হুগলির তারকেশ্বরে রোড শো রয়েছে মিঠুনের।
দিলীপ ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় রোড শো করবেন। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ও পাথরপ্রতিমায় রোড শো রয়েছে তাঁর।
নন্দীগ্রামে আজ বিকেল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে প্রচার। তার আগে শেষবেলায় জমজমটা প্রচার দেখবে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সোনাচূড়া, বাঁশুলিচক ও টেঙ্গুয়ায় সভা করবেন তিনি।
দিনহাটার বিজেপি নেতার খুনের তত্ত্ব খারিজ। রিপোর্ট দেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। রিপোর্ট আসার পর মৃত বিজেপি নেতার বাড়িতে যান উদয়ন গুহ।পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর
চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। আজ সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে যান রাহুল। সেখানেই তিনি সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সাফাইকর্মীদের দাবি, সরকারি দফতরে এভাবে ভোটের প্রচার করা যায় না। পাল্টা বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তিনি ভোটের প্রচার করতে ওই দফতরে যাননি। তবে অফিস চলাকালীন সাফাইকর্মীরা যেভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে পাদরিকুটি গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, হোলি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসে জড়ো হয়েছিলেন। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপির মণ্ডল কমিটির সদস্য সুভাষচন্দ্র রায়কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাতে তাঁর বাঁ কান কেটে যায়। আঙত ওই বিজেপি নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতে কোতোয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একাধিক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও তৃণমূলের তরফে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আজ দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারের শেষ দিন।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে তুঙ্গে প্রচার। তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও। নন্দীগ্রামের মাটিতে ঘরের লোক-বহিরাগত বিতর্ক। নন্দীগ্রামের প্রচারে ঘরের ছেলে ইমেজ তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করে বললেন, উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন! শীত, গ্রীষ্ণ, বর্ষা, আমিই থাকব। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, কাঁথির ছেলে, নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র কী করে?
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের দুই কাণ্ডারী এখন দু’পথে। তাদের নিজেদের এখন মধ্যেই সংঘাত।আর এই প্রেক্ষাপটেই মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে ফিরেছে ১৪ বছর আগেকার গুলিকাণ্ডের স্মৃতি। তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের চরম সংঘাত বেধেছে। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামে ভোটের আগে শিল্পায়ন ইস্যুতে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি তা হল, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। আমরা সেই পথে এগিয়েছি। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান সরকারের হাতে গত দশ বছরে সেই কৃষিতে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। উল্লেখযোগ্য কোনও শিল্প আসেনি এক দশকে। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে শ্মশানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন বাংলার যুব সমাজ। সরকারি ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগ নেই। বাংলার মেধা ও কর্মদক্ষতা যা আমাদের সম্পদ - তা আমাদের রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।...একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্বৈরতান্ত্রিক দাপাদাপি অন্যদিকে বিজেপির বৃহৎ পুঁজির স্বার্থে সর্বনাশা আর্থিক নীতি, বিভেদের রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ - যার পেছনে রয়েছে আরএসএস-এর ভয়ঙ্কর মতাদর্শ। এরই পরিণতিতে আজকের এই ধ্বংসচিত্র।...বর্তমান অবস্থার অবসান ঘটাতেই হবে। আজ বাংলার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -