করুণাময় সিংহ, ঋত্বিক মণ্ডল, মালদা: নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও, বাংলায় ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে। ডান-বাম, সব দলেরই পাখির চোখ ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট। বাংলার সংখ্যালঘু ভোটে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিমের প্রভাব রুখতে তৎপর তৃণমূল। বারবার তাদের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের অভিযোগে সরব হচ্ছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি-মিম দু’দলই।
গতকাল মুর্শিদাবাদে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাইরে থেকে একটা দলকে বিজেপি টাকা দিয়ে এনেছে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে।
এই পরিস্থিতিতে মুসলিম অধ্যুষিত মালদা জেলায় মিমের সংগঠনে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। আসাউদ্দিন ওয়েসির দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন মালদা মিমের নেতা সাব্বির আহমেদ। তৃণমূল সূত্রে দাবি, সাব্বিরের সঙ্গে দশটি ব্লকে মিমের শতাধিক নেতা কর্মী শাসকদলে যোগ দিয়েছেন।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেছেন,ভোটের আগে এই যোগদানে আরও শক্তিশালী হল তৃণমূল। আগামী দিনে তাদের নেতৃত্বে ব্লকে ব্লকে এই যোগ দান কর্মসূচি হবে। তৃণমূলই একমাত্র বিজেপিকে আটকাতে পারে।
সাব্বির আহমেদ বলেছেন, বিজেপি ও মিম দুটোই সাম্প্রদায়িক দল। বাংলার উন্নয়নে সামিল হতে ধর্মনিরপেক্ষ দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মিম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আনোয়ার পাশা। তাঁর হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দিয়ে ব্রাত্য বসুর দাবি ছিল, রাজ্যে মিমের প্রধান মুখ এখন তৃণমূলের সঙ্গে। কলকাতার পর আসাউদ্দিন ওয়েসির দলে দ্বিতীয় ধাক্কা দিল মালদা। পাল্টা জবাব এসেছে মিমের তরফে।
মিমের রাজ্য সভাপতি জামিরুল হাসান বলেছেন, আনোয়ার কোনওদিন কোনও প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। সাব্বির বলে কোনও দায়িত্বশীল নেতাকে মনে পড়ছে না আমার। টিএমসির অভ্যেস হয়ে গেছে খুঁজে খুঁজে লোক নিয়ে আসা। কেন এত নীচে নেমেছে মাথায় আসছে না।
মালদা-মুর্শিদাবাদ-উত্তর দিনাজপুরের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় মিম সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসালে, তা এবারের বিধানসভা ভোটে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে।