সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: রাস্তা, পানীয় জল থেকে আমফানে ত্রাণ না পাওয়া। ভোটের মুখে জনসংযোগে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে পাণ্ডুয়ায় একাধিক প্রশ্ন এলাকাবাসীর। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস তৃণমূল নেতার। যা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম-বিজেপি ।
কোথাও উঠল চাকরি না মেলার অভিযোগ! কোথাও রাস্তা, পানীয় জল না মেলায় ক্ষোভ! মমতা সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের দুয়ারে গিয়েছিলেন হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন এভাবেই তাঁকে ঘিরে ধরে অভাব-অভিযোগের কথা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার পাণ্ডুয়ার সিমলাগড়ের চাপাহাটি কলোনিতে জনসংযোগ সারতে যান তৃণমূল সাংসদ। তাঁকে সামনে পেয়ে রাস্তা-পানীয় জল থেকে আমফানে ত্রাণ না পাওয়ার মতো একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকেন স্থানীয়রা।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির পাণ্ডুয়া আসনে জয়ী হয় সিপিএম। ২১-এর ভোটের মুখে জনসংসোগ করতে আসায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বামেরা। পাণ্ডুয়া আসনটি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফল অনুযায়ী, পাণ্ডুয়া আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মানুষের দুয়ারে এসে তৃণমূল সাংসদের জনসংযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির পাণ্ডুয়ার আহ্বায়ক অশোক দত্ত বলেন, তৃণমূল নেতারা লুটেপুটে খেয়েছে। ভোটের আগে সাংসদকে এসে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে। মানুষ তিমিরে। শুধু তৃণমূলের নেতাদের উন্নয়ন। এবার ভোটে বুঝতে পারবে।
যদিও সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের অসুবিধা দেখতে এসেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব করে দেব। বিজেপির জন্যই গরীব মানুষরা বঞ্চিত। এ মাসেই ঘোষণা হতে পারে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। তার আগে ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সবপক্ষ।