আশাবুল হোসেন, ফালাকাটা: নজরে চা শ্রমিকদের ভোট। চা সুন্দরী প্রকল্পে গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি দিচ্ছে রাজ্য। এরজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এদিন ফালাকাটায় আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কখনও মেতে উঠলেন ধামসা-মাদলের তালে...কখনও, পা মেলালেন আদিবাসীদের নাচের ছন্দে।আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় আদিবাসীদের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে খোসমেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


উত্তরবঙ্গ মানেই চা বাগান। পাহাড়ের গায়ে সবুজ গালিচা।
কিন্তু, ভোটের আগে, রাজনীতির আঙিনায় উঠে এসেছে এই চা বাগান।শাসক-বিরোধী সকলেরই নজর চা শ্রমিকদের ভোটবাক্সের দিকে।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,বিজেপি ভোটের আগে এসে বলে বাগান খুলবে। ভোট মিটলেই পালিয়ে যায়। চা বাগান আর খোলে না। ওঁদের জমি কেউ নিতে পারবে না।

রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, উত্তরবঙ্গ-জঙ্গলমহলে তৃণমূল নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথা কেউ শোনে না।
সোমবারই, বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করে কেন্দ্র।

তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার মাটিতে দাঁড়িয়ে চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের চা সুন্দরী প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা কৌশল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, চা সুন্দরী প্রকল্পে যাঁদের ঘরবাড়ি নেই, তাঁদের জন্য বাড়ি দেওয়া হবে। এই খাতে বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হব। ৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে চা বাগানের মাইনে ২০২ টাকা করেছি। বন্ধ চা বাগানগুলিও খোলার চেষ্টা করব।

শমীক ভট্টাচার্যর কটাক্ষ, চা বাগানের শিশুদের দেখলেই বোঝা যায় মুখ্যমন্ত্রী কী অবস্থায় রেখেছেন।
৯০০ জন আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন দম্পতির হাতে তুলে দেন উপহার।