মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে দলবদল ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কংগ্রেসত্যাগীকে দলে নেওয়ায় বিক্ষোভ তৃণমূলের একাংশের। পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন শহর সভাপতি। ভোটের মুখে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


চলতি মাসেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দলের কাঁটা কি গোষ্ঠীকোন্দল? সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরর বালুরঘাটে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন আইনজীবী শেখর দাশগুপ্ত। কিন্তু তাঁর দলবদলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বালুরঘাটে জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে দলেরই একাংশ। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর চক্রবর্তীর অনুগামী বলে পরিচিত শহর তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল লাহা। পদত্যাগের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। বালুরঘাটের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি শ্যামল লাহা জানান, ‘‘আমাদের ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে কেন দলে নেওয়া হল। ওকে নেওয়াই হচ্ছে প্রার্থী হিসাবে। বালুরঘাটের মানুষ এখানকার ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী চাই। যদি এরকম সিদ্ধান্তই নেওয়া হয় তবে পদত্যাগ করব ৷’’


 


সূত্রের খবর, বিক্ষোভের খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে যোগদান কর্মসূচি বাতিল করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বালুরঘাটে জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপরে হয় যোগদান কর্মসূচি। বালুরঘাটের কংগ্রেসত্যাগী তৃণমূল নেতা শেখর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘কোথাও বিরোধিতা হচ্ছে কিনা জানা নেই। জনসমক্ষে যোগ দিতে চেয়েছিলাম। তাই রাস্তায় সকলের সামনে তৃণমূলে যোগ দিলাম। দল চাইলে তবেই প্রার্থী হব ৷’’


 


দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, ‘‘দলের মধ্যে বিরোধিতার কোনও ব্যাপার নেই। যিনি দলে যোগ দিচ্ছেন তিনি বলেছিলেন সকলের সামনে দিয়ে আসবেন। তাই রাস্তায় কর্মসূচি করা হচ্ছে ৷’’


 


এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কংগ্রেস নেতা গোপাল দেব জানান, ‘‘ শেখর কোথায় যাবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার ৷ তবে যেটা হল, তাতে শেখরের সম্মানহানি হয়েছে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত জানান, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। এর ফলে জেলার ৬টা আসনেই জিতব ৷’’


 


২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি আসনে ভোটগ্রহণ।