কৌশিক গাঁতাইত ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিজেপি নেতাকে হুমকি, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে ইঁটের টুকরো ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। অন্যদিকে, আসানসোলে ছিঁড়ে দেওয়া হল তৃণমূলের ব্যানার। দু’টি ঘটনাতেই তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে।


কোথাও নর্দমায় ফেলে দেওয়া হল বিজেপির পতাকা। কোথাও আবার ছিঁড়ে দেওয়া হল তৃণমূলের ব্যানার। কোথাও আবার বিজেপি নেতাকে হুমকি, তাঁর বাড়িতে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল। পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক ঘটনায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি। সোমবার রাতে দুর্গাপুরের কাঁকসার সিংপাড়ায় বিজেপির ৬১ নম্বর বুথের সভাপতি সুকান্ত নন্দীর বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। বিজেপি নেতাকে ইঁটের টুকরো ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। 


এর ঠিক পাশের পাড়া, কাঁকসার গৌড়তলায় বিজেপির দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় নর্দমায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এইসব কাণ্ড ঘটিয়েছে। কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে রাজি নয় তৃণমূল।


অন্যদিকে, আসানসোল পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের রাধানগর মোড়ে ছিঁড়ে দেওয়া হয় তৃণমূলনেত্রীর ছবি। তৃণমূলের অভিযোগ, একাজ বিজেপিরই। আসানসোল পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা ও বিদায়ী কাউন্সিলর সরোজ কর্মকারের দাবি, ‘বিজেপি ভয় পেয়ে এটা করেছে।’


যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।


সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানে রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবি দেখা যায়। দেওয়াল দখল নিয়ে দলাদলি নয়। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে সম্প্রীতির নজির তৈরি হয় দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা অঞ্চলে। দুর্গাপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সগরভাঙায় একই বাড়ির দেওয়ালে কোথাও ঘাস-ফুল, কোথাও পদ্ম ফুল, কোথাও আবার আঁকা হল কাস্তে-হাতুড়ি-তারা। পাশাপাশি দেওয়ালে লেখা হয় তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীর নাম। বিজেপি ও সিপিএমের দাবি, দেওয়াল লিখন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। মিলেমিশে চলছে কাজ। তৃণমূলের দাবি, এটাই বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু এরপরেই পরস্পরের বিরুদ্ধে তৃণমূল ও বিজেপি-র অভিযোগে সৌজন্য়ের সেই ছবি উধাও হয়ে গেল।