সঞ্চয়ন মিত্র ও সুনীত হালদার- বোমাবাজি, গুলি, আগুন, ইঁটবৃষ্টি, মারধর, ঝরল রক্ত, তৃতীয় দফার নির্বাচনে ভোটের তিন জেলায় দেখা গেল সন্ত্রাসের ছবি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্বের দক্ষিণ বেলেগাছি কানাপাড়া এলাকায় ভোটারদের আটকে রাখা, মারধর, ভোট দিতে গেলে খেলা হবে বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ভোটারদের। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। কানাপাড়ার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও তারা আসেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।’’


বারুইপুর পূর্বের বেলেগাছির বিদ্যাধরী পল্লিতে বিজেপি নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিদ্যাধরী পল্লির বিজেপির বুথ সম্পাদক খোকন মণ্ডল বলেন, ‘‘গতকাল রাতে আসে। মোবাইল কেড়ে নেয়। মারতে থাকে।’’ এরপর ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, বারুইপুর জেলা পুলিশের বিশাল পুলিশবাহিনী।


বিষ্ণুপুরের মাগুরখালিতে তৃণমূলের বাধা অগ্রাহ্য করে ভোট দিতে যাওয়ায়, বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার নোদাখালির ২০৫ নম্বর বুথের সামনেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ক্যানিং পশ্চিমের হিঞ্চেখালি গ্রামে গণেশ কেউট নামে এক বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বিজেপি কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


ভোটের আগের রাতে, বাসন্তীর হেদিয়াতে ১৪ এবং ১৫ নং বুথের বাইরে বোমাবাজি হয়। গুলি চলে। সকালে বুথের সামনে পড়ে বোমার সুতলি, গুলির খোল। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির।


ভোট চলাকালীন হাওড়ার আমতা বিধানসভার দক্ষিণ ভাটোরার ৯০ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একদিকে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, তখন, হুগলির আরামবাগের গৌরহাটি এলাকায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি পলাশ রায়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ইটবৃষ্টির মাঝে কোনওমতে এলাকা ছাড়েন তৃণমূল নেতা।


এদিকে, হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের সুকান্ত পল্লিতে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মোটরভ্যান ও খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। আইএসএফ, জগৎবল্লভপুর ১৭৩ নম্বরের বুথ সম্পাদক শেখ হাসিবুল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷


 বাগনানের ২২৮ নম্বর বুথে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে, সোমবার রাতে, বাসন্তী বিধানসভার সোনাখালি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর তাজা বোমা।