রানা দাস, পূ্র্ব বর্ধমান: ‘উপরে সবুজ ভেতরে লাল তরমুজ’... রাজনীতির সঙ্গে এই শব্দটা খুবই পরিচিত। এবার সেই তরমুজের গায়ে লাগল রাজনীতির রং। তরমুজের গায়ে আঁকা তৃণমূল, বিজেপি ,কংগ্রেস, সিপিএমের প্রতীক ৷ তরমুজের গায়ে আঁকা তৃণমূলের জোড়া ফুল আবার কোনও তরমুজে বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল। বাদ যায়নি কংগ্রেস সিপিএম-এর হাত,কাস্তে হাতুড়িও। আর সেই রাজনীতির রং লাগা তরমুজ দেদার বিক্রি হচ্ছে কাটোয়া শহরে।


তরমুজ বিক্রেতা মেহের আলির ধারালো চাকুতে তরমুজের গায়ে ফুটে উঠছে ফুল, হাত,কাস্তে। আর সেই তরমুজ কিনতে মেহের আলির দোকানে ভিড় করছেন অনেকেই। মেহেরের কথায় বাজারে আরও অনেকেই তরমুজ বিক্রি করে ৷ তবে এখন তার কাছেই রাজনীতি দলের প্রতীক আঁকা তরমুজ কিনতে ভিড় হচ্ছে। মেহের আলি ছোট থেকেই ধারালো চাকু দিয়ে শোলা কেটে নানান ধরনের মডেল তৈরি করে। আর সেই শিল্পকেই এবার তিনি তুলে ধরেছেন তরমুজের গায়ে। তাঁর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তরমুজ পেয়েছে এক নতুন পরিচয়। মেহের আলি জানান. এখন সব থেকে বেশি জোড়া ফুল আর পদ্মফুলের তরমুজের চাহিদাই বেশি। মাঝে মাঝে দু-একজন হাত ও কাস্তে আঁকা তরমুজেরও খোঁজ করছে। তবে এই তরমুজ কিনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে  দু-একজন ক্রেতাকে। এক মহিলা জানালেন তিনি না দেখেই তরমুজ কিনে বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু বাজারের থলে থেকে তরমুজ বার করতেই ছেলে বাড়িতে হুলুস্থুলু লাগিয়ে দিল ৷ আসলে আমার ছেলে তো তৃণমুল ছাত্র পরিষদ করে। কি আর করব সেই রোদের মধ্যে দোকানে গেয়ে পদ্ম পাল্টে জোড়া ফুল আনতে হল।




আবার এমন ক্রেতাও দেখা গেল পদ্ম আঁকা তরমুজ না পেয়ে, প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তরমুজের গায়ে পদ্ম আঁকিয়ে সেই তরমুজ নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি যেতে। এখন তরমুজেও জোর টক্কর তৃণমূল বিজেপির মধ্যে ৷ কিছুটা হলেও পিছিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম তরমুজ। ঠিক যেমন রাজনৈতিক ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তৃণমূল, বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে। চিকিৎসকদের মতে প্রখর রোদে তরমুজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। রাজনৈতিক নেতাদেরও একই মত ৷ তবে মুচকি হেসে তারা বলছেন, তরমুজ কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে দেখে, তাদের দলের প্রতীক আঁকা তরমুজ কিনুন। আর ভোটের দিন সকাল সকাল বোতাম টিপুন, তরমুজের গায়ে আঁকা চিহ্নে।