গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ভোটের মুখে লাভপুরে উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থীকে জুতো-ঝাঁটা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, লাভপুরের সাংড়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
লাভপুরে বিজেপি প্রার্থীকে দেখানো হল জুতো-ঝাঁটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল! অন্যদিকে, লাভপুরের সাংড়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে! বৃহস্পতিবার প্রচারে পাড়ুইয়ের সোমডাঙা গ্রামে যান বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল! দেখা যায়, রাস্তার উপর আড়াআড়িভাবে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে লাগানো রয়েছে জুতো ও ঝাঁটা! এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
লাভপুরের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার যাওয়ার রাস্তায় এভাবে জুতো ঝুলিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আমি এই জুতো মাথায় নিতে প্রস্তুত...মানুষ এর বিচার করবেন।’’
এদিকে লাভপুরের সাংড়ায় আবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতিদের বৈঠক চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশ-লাঠি নিয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয়! এমনকী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা টোটো, মোটরবাইকেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ৫ তৃণমূল কর্মী জখম হন। দু’পক্ষের হাতেই লাঠি-বাঁশ ছিল। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় ৷ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেদের বাধা দেয় আদিবাসীদের...তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা করেছে, হাত-পা একটাও আস্ত রাখব না।’’
অন্যদিকে বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রব সাহা বলেন, ‘‘আমাদের লোকেদের উপর আগে আক্রমণ করেছিল...বিজেপি কাউকে আগে থেকে মারতে যায়নি। সাঁইথিয়া থানার ওসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ’’এই ঘটনায় ৫ জন বিজেপি সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, আচমকাই ১০০ থেকে ১৫০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক এসে তাদের দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়। পার্টি অফিসের সামনে থাকা মোটরবাইক, স্কুটার ভাঙচুর করা হয়েছে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশের সক্রিয়তা তেমন চোখে পড়েনি।