সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে অবরোধ, কোথাও ওভারহেড তারে ছুড়ে ফেলা হল কলাপাতা। বামেদের রেল অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।
সকলের জন্য শিক্ষা, চাকরি-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। আর শুক্রবার তাদের ডাকা ধর্মঘটের জেরেই চোখের জল ফেলতে হল আইটিআই-এর এক পরীক্ষার্থীকেও। বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে, এদিন রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বামেরা। জায়গায় জায়গায় করা হয় রেল অবরোধ।
এদিন হুগলির পাণ্ডুয়া স্টেশনে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে অবরোধ করে বামেরা। সেই সময় বর্ধমানে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে এসেছিলেন আইটিআই-এর এক ছাত্রী। কিন্তু অবরোধের জেরে ট্রেনে উঠতে পারেননি। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক। কিন্তু তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে ছাত্রীর অভিযোগ। আইটিআই-এর এক পরীক্ষার্থীর কথায়, ‘‘যেতে পারছি না, বললাম তো এমএলএ সাহেবকে। বলল গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে, কিন্তু কীভাবে যাব !’’
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রেল অবরোধ হয়। আটকে পড়ে হাসনাবাদ ও সোনারপুর লোকাল। পঁচিশ মিনিট পর অবরোধ ওঠে। রেল অবরোধ হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বেশ কয়েকটি স্টেশনে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনে হোটর ও ধামুয়া স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেন ধর্মঘটীরা। রেল লাইনে দাঁড়িয়েও চলে অবরোধ। একই ছবি দেখা যায় দেউলা ও সংগ্রামপুর স্টেশনের মাঝেও।রেল অবরোধ হয় বজবজ শাখার নুঙ্গি স্টেশনে।অবরোধের জেরে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয় উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন স্টেশনে। দমদম ক্যান্টনমেন্ট- বেলঘরিয়া- বারাসাত- কাঁচরাপাড়া- অশোকনগর রেল অবরোধে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাওড়ার ডোমজুড়, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।