কলকাতা:  এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করলেন তিনি।  তৃণমূলের আগে কংগ্রেসে ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন তিনি। পরের বছরই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ের পরে ২০১৭-য় তৃণমূলে অরিন্দম ভট্টাচার্য। এবার তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। অবশেষে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।

দলে যোগ দিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি।  সদ্য দলত্যাগী বিধায়ক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। সেইসঙ্গে সরকার সার্বিকভাবে ব্যর্থ বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলার লক্ষ লক্ষ যুবকের হাতে কোনও কাজ নেই। লকডাউনের সময় অনেক আশা নিয়ে ফিরেছিলেন তাঁরা।  রাজ্যে ফিরলেও কোনও কাজ পাননি পরিযায়ীরা শ্রমিকরা।  বাংলায় কাজ না পেয়ে ফের ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন সেই যুবকরা।’

তিনি বলেছেন,পশ্চিমবঙ্গ বললেই আজ সকলের সামনে দুর্নীতির ছবি ভেসে ওঠে।  বাংলায় আজ কোনও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর স্লোগানে ভরসা আছে। মোদির নেতৃত্বে আত্মনির্ভর হবে বাংলা’।

অরিন্দম বলেছেন, ‘প্রথমে প্রাধান্য ছিল আমার বিধানসভা কেন্দ্রের উন্নয়ন। আমার কাছে আগে মানুষ, তারপর রাজনীতি। সেজন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলাম। বাংলায় আজ চাকরি পেতে কিডনি বিক্রি করতে হচ্ছে। এই পশ্চিমবঙ্গ আমি চাইনি। চাই না আর কাউকে চাকরি পেতে কিডনি বিক্রি করতে হয়। আত্মনির্ভর শান্তিপুর, আত্মনির্ভর বাংলা দেখতে চাই। বাংলার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার হবে মোদির নেতৃত্বে।’

উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা দল ছেড়ে গৈরিক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সেই তালিকায় যোগ হল নদিয়ার শান্তিপুরের বিধায়কের নাম। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়েছেন ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কও।