নন্দীগ্রাম: আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোটগ্রহণের দ্বিতীয় দফায় সকলের নজর নন্দীগ্রামে। সেখানে মূলত ত্রিমুখী লড়াই। শাসক দলের হয়ে লড়ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও সংযুক্ত মোর্চার মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়।


জয়ের ব্যাপারে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'দিদি হার গয়া। পরাজয়ের মার্জিন বলা ঠিক নয়। তবে আগেই বলেছিলাম, বিজেপি ৫০ হাজার ভোটে জিতবে। নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে আমার দীর্ঘ সম্পর্ক। সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক।'


মমতা সম্প্রতি একটি জনসভায় নাম না করে আক্রমণ করেন শুভেন্দুকে। বলেন, তিনি কালসাপ পুষেছিলেন। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে শুভেন্দু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিচিতি দিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অটলবিহারি বাজপেয়ী। বিশ্বাসঘাতক তো উনি।' শুভেন্দু বলেন, 'উনি অশ্লীল কথা বলেন। শালা বলেন। আমাকে তো একাধিকবার শালা বলেছেন। বিধান রায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসুদের এসব বলতে হয়নি।'


বহু বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূল কেন এজেন্ট দিতে পারেনি সেটা ওরা বলবে।' কেশপুরের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, 'যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। তবে সেটা রাজনৈতিক সংঘর্ষে হয়েছে না অসুস্থতার কারণে, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। ভোটে যারা হারে তারা এসব বলে। একজম যেমন ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরছিলেন। বেগম হারছে। বিকাশ জিতছে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ। ৭০-৮০ বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই। যে বুথে ভোটারদের বিরক্ত করা হবে, সেখানে যাব।'


শুধু নন্দীগ্রাম নয়, দ্বিতীয় দফার ভোটের সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় অশান্তির খবর মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। দাদপুরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিকে, ভোটের আগের রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বিষ্ণুপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি ও এক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে ক্যাম্প অফিস সাজানোর সময় হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ তোলে বিজেপি।