কোচবিহার: কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে 'হামলা'। সভা করে ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়ে হামলা। কনভয়ে হামলার পরে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির।
চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রায় ১০০-র বেশি লোক ঘিরে ধরেন। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির সংঘাতের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন?
কোচবিহারের শীতলকুচিতে আজ সভা ছিল দিলীপ ঘোষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শেষ করে সেই রাস্তা দিয়েই ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপরই দুপক্ষের বচসা শুরু হয়, হাতাহাতি। বিজেপির দাবি সেখানে বোমাবাজি হয়। তাঁদের কর্মীদের মারধর করা হয়। ঠিক সেই সময় দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখছিলেন। সভা শেষ করে তিনি যখন যাচ্ছিলেন তখন তাঁর গাড়িতেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির একটা কাচ ভেঙে যায় এদিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলাম গাড়ি নিয়ে। সেই সময় চারদিক থেকে বোমা, পিস্তল নিয়ে আক্রমণ করেন। হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা ছিল বলে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তাঁর কথায়, মানুষের জীবনের কোনও সুরক্ষা নেই। এই নির্বাচনের কোনও মানেই হয় না। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা না নিলে কোচবিহার কোনও নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হবে না। সেটা সিতাই হোক বা শীতলকুচি। এখানকার পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বোম মারতে মারতে চোখের সামনে আক্রমণ করা হয়। ভোটকে প্রভাবিত করার জন্যই এই কাজ করেছে তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী চান না শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনামূলক কথা বলছেন তিনি।
এই ঘটনার পরই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আমরা সুরক্ষায় না থাকলে বাকিদের কী হবে। মানুষ এসব পছন্দ করছে না। লোকসভায় মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে। আজকের ঘটনা অকল্পনীয়। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতা সৌমিত্রর খাঁয়ের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্নায় বসে বিজেপি।