শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ভোটের মুখে কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে ফের প্রকাশ্য এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রার্থী বদল নিয়ে দলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা। বিক্ষুব্ধদের গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থী। যদিও দলের অন্দরে ক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছে জেলা নেতৃত্ব।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সাতদিন পরেও তৃণমূলের অন্দরে কাটছে না অসন্তোষ। যা নিয়ে ভোটের মুখে প্রবল অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রে এবারও বিদায়ী বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই প্রার্থীকে নিয়ে শাসকদলের ভিতরে দানা বেঁধেছে ক্ষোভ। গতকাল দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবু আল আজাদের বাড়িতে বৈঠক করেন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।
দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়ে দলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ। তাঁর দাবি, ‘স্থানীয় মানুষ জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে প্রার্থী হিসেবে চান না। আমরাও ওঁকে সমর্থন করছি না। দলকে বলব। সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যাচ্ছে। বলছে, বিষ খাব, তবু জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে সমর্থন করব না। প্রার্থী পরিবর্তন না হলে অন্য চিন্তাভাবনা করব।’
সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া বলেছেন, ‘দল আমাকে প্রার্থী করেছে, প্রচার করছি। কে কী বলল, তা নিয়ে ভাবার সময় নেই। যারা তৃণমূল করে, তারা আমার সঙ্গেই রয়েছে।’
তবে প্রার্থী বদল নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের কথা উডিয়ে দিয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, ‘এমন কোনও মিটিং বিধায়কের বিরুদ্ধে হয়নি। এসব মিথ্যা প্রচার করে ক্ষতি করার চেষ্টা চলছে।’
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই এগিয়ে বিজেপি। সিতাই ও শীতলকুচিতে তৃণমূল এগিয়ে। এর মধ্যে সিতাই কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ৩৪ হাজার ৬৬১ ভোটে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। ভোটের আগে সেই সিতাইয়ে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের।