সন্দীপ সরকার: রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার নরেন্দ্র মোদির কাঁথির সভাতেও উপস্থিত থাকার কথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর।
তার আগেই একেবারে এলাকায় গিয়ে তাঁকে নিশানা করে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সাংসদকে তুলোধনা করেছেন অধিকারী পরিবারের কর্তাও।
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। মেদিনীপুর শহরে রোড শো করেন অমিত শাহ। ঘাটালে র্যালি করেন নড্ডা।
পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রোড শো যায় একেবারে অধিকারী পরিবারের এলাকার গা ঘেঁষে। রোড শোর শেষে কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সভা করেন তিনি।
শিশির, শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে মেরেকেটে যার দূরত্ব ২ কিলোমিটার। সেখানে দাঁড়িয়েই নাম না নিয়ে ফের অধিকারী পরিবারের সদস্যদের মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, কাল প্রধানমন্ত্রী আসছে, যার জেলে থাকার কথা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসবেন। মিরজাফর অ্যান্ড কোম্পানির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আজ বিদায়ের খুঁটিপুজো হল, ২ মে বিসর্জন। ২০১৪ থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছো। কি বিশ্বাসঘাতকবাবু শুনতে পাচ্ছো। সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে যে নিজের মেরুদণ্ডকে বিক্রি করে দেয়, তাঁকে মেদিনীপুরের মানুষ মেনে নেবে না। মিরজাফরের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলত্যাগী সাংসদ ও বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী। বলেন, মীরজাফর তো মুর্শিদাবাদে ছিলেন। মুর্শিদাবাদ থেকে কাঁথি আসতে কলকাতা হয়ে আসতে হয়। কার বিসর্জন হবে, পিসি-ভাইপোর তো? আমি বলি পিসি ভাইপোর বিসর্জন হবে। তোলার টাকায় হেলিকপ্টার উড়ছে, বাপের বেটি মাই কা লাল।
এদিনও ভাইপোর মুখে শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান, তবে হুঁশিয়ারির সুরে। বলেন, তোমার ময়দানে দাঁড়িয়ে আছি বন্ধু, তৈরি থেকো। রেজাল্টের পর খেলা হবে। পদ্মফুল উপড়ে ফেলার খেলা। জবাবে শিশির বলেন, খেলবেন কী করে, পা ভেঙে তো পড়ে আছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাড়ির মেজ ছেলের পথে হেঁটেছেন ছোট ছেলে সৌমেন্দু এবং তাঁদের বাবা শিশির অধিকারীও।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, শুভেন্দুর সেজ ভাই, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুরও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই ফের তৃণমূলের নিশানায় অধিকারী পরিবার।