বসিরহাট: প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই রেকর্ড গড়লেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী পেলেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৭৮টি ভোট। নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় যা প্রায় ২৫ শতাংশই বেশি। নুসরত এবং সায়ন্তনের ভোটের ব্যবধান ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এত বড় ব্যবধান নিয়ে আর কোনও তৃণমূল প্রার্থীই জেতেননি। ২০১৪ সালের নিরিখেও এই কেন্দ্রে ২ লাখের ওপর ভোট বাড়িয়ে নিল রাজ্যের শাসক দল। গতবার বসিরহাট থেকে ১ লাখের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন ইদ্রিস আলি।
জয়ের ব্যবধানের নিরিখে নুসরতের পরেই রয়েছেন তৃণমূলের এই প্রজন্মের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার থেকে ৩ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক। এই তালিকায় তিনে রয়েছেন জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল। এই কেন্দ্রে ৫৬ শতাংশের ওপরে ভোট পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারিকে ৩ লাখের কিছু বেশি ভোটে হারিয়ে আরও একবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রতিমা মণ্ডল।
তারকা প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমিও। ৩ লাখের কাছাকাছি ভোটে সিপিআইএম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন এই অভিনেত্রী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৩।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের তারকা প্রার্থীদের মধ্যে পরাজিত হয়েছেন মুনমুন সেন। গতবার বাঁকুড়া থেকে জিতলেও এবার আসানসোল কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ব্যবধান কমলেও জয় পেয়েছেন দেব। বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে ১ লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার সাসংদ হলেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল আড়াই লাখের ওপরে।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্য থেকে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জিতেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ত। নিকটবর্তী তৃণমূল প্রার্থী অমর সিংহ রাইকে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৩ ভোটে হারিয়ে রাজ্য থেকে সর্বাধিক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন এই বিজেপি প্রার্থী।