গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও তুহিন অধিকারী, বোলপুর ও ইন্দাস: দেওয়াল লেখা নিয়ে বীরভূম ও বাঁকুড়ায় দুই বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’টি ঘটনাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল বলে দায় এড়িয়েছে শাসকদল।


বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপি অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল দখলের লড়াই। দেওয়াল-দ্বন্দ্বের জেরে একই দিনে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা, বীরভূম ও বাঁকুড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার রাতে বোলপুরের কাশিমবাজারে দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের মারধর করে দেওয়াল মুছে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক এঁকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

বোলপুরের কাশিমবাজারের বিজেপি বুথ সভাপতি সোমনাথ হাজরার অভিযোগ, ‘চুনকাম করার সময় তৃণমূল চড়াও হয়। ধস্তাধস্তি হয়। রং না পেয়ে আমাদের দেওয়ালে ইট দিয়ে লেখে।’

পাল্টা তৃণমূল নেতা প্রতাপকুমার সিংহ রায়ের দাবি, ‘ওরাই আমাদের দেওয়াল মুছে দেয়। আমাদের ছেলেরা বাধা দেয়। কথা কাটাকাটি হয়। মারধর করা হয়নি।’

ভোটের আগে এনিয়ে একে অপরকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ‘ওরা খেলা দেখাতে চাইছে। সময় হলেই খেলা শেষ করার খেলা শুরু হবে।’

পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘ওদের সাজানো। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও যোগ নেই।’

অন্যদিকে, বাঁকুড়ার ইন্দাসের দীঘল গ্রামেও একই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে দেওয়াল লেখা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা বাঁধে। বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ইন্দাসের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গৌতম ধাড়ার অভিযোগ, ‘দেওয়াল লেখার সময় তৃণমূল রড-লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।’ যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য বিশ্বনাথ ঘোষের দাবি, ‘মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’

দু’টি ঘটনাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।