কোচবিহার উত্তপ্ত শীতলকুচি, এখনও পর্যন্ত গুলিতে নিহত চার জন। আহত আরও চার। জোড়া পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সকালে গুলি চলে।
১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। শীতলকুচিতেই ফের গুলি চলার ঘটনায় আরও চারজনের গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিএপিএফের বিরুদ্ধে। বিনা প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনার বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএপিএফ বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কেন তাদের গুলি চালাতে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় শিরোনামে ছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা হয়। যা নিয়ে চড়তে থাকে রাজনৈতিক পারদ। তৃণমূল-বিজেপি দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থমথমে পরিস্থিতি ভোটের দিনে অন্য হিংসার চেহারা নিল গুলি চলার ঘটনায়।
শীতলকুচির পাগলাপীরে শনিবার সকালে ভোটের লাইনে চলল গুলি৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের ৷ মৃত তাদের দলের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও পরিবারের দাবি, তিনি বিজেপি সমর্থক। মৃতের নাম আনন্দ বর্মন (১৮) ৷ ঘটনার পর বেআইনি জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ ৷
চতুর্থ দফার ভোটে শুরুতেই কোচবিহারে চলল গুলি। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে শীতলকুচি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ব়্যাফ নামানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে এলাকায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ৷
শনিবার সকাল থেকেই কোচবিহারের শীতলকুচি অশান্ত ৷ শীতলকুচির জোড়া পাটকিতে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হয় ৷ ২৬৫ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি শীতলকুচির পাগলাপীরে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটল ৷