কলকাতা : ধারা রইল অব্যাহত। ২০১৯-এ বর্ধমান পূর্বে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুনীলকুমার মণ্ডল। এবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন পেশায় ডাক্তার শর্মিলা সরকার । হলও তাই । চিকিৎসক প্রার্থীর উপর আস্থা রাখলেন তিনি। বর্ধমান পূর্ব আসনে জয়লাভ করলেন তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার। প্রতি রাউন্ডেই ধাপে ধাপে এগোচ্ছিলেন তিনি। শেষমেষ জয় এল তাঁর ঝুলিতে। বিজেপির অসীম সরকারকে  ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৫০ ভোটে হারিয়ে জয় পেলেন শর্মিলা। অসীম সরকারের প্রাপ্ত ভোট  ৫,৫৪,৩৭২। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী।             



কেন্দ্রের হাল হকিকত 


বর্ধমান পূর্ব। ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্রের আওতায়। সেগুলি হল -রায়না, জামালপুর, কালনা, মেমারি. পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর, কাটোয়া। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে উপরের ৭ কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূলই। এবার নজর রাখা যাক এই কেন্দ্রের ২০১৯ এ কেমন ফল করেছিল বর্ধমান পূর্ব। উনিশের ভোটে অনেক জায়গায়ই ভোটের ফল। ২০১৯ এ জেতেন তৃণমূলের সুনীল কুমার মণ্ডল। ২০১৪ সালে বর্ধমান পূর্ব জিতেছিল তৃণমূলই।  ২০০৯ এ জিতেছিলেন সিপিএম এর অনুপ কুমার সাহা। 


বর্ধমান পূর্বে এবারের তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সুনীল মণ্ডল। অন্যদিকে, নদিয়ার হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক এবার লোকসভায় এই আসনে বিজেপির বাজি। এবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে লড়াই করছেন কবিয়াল অসীম সরকার। হলফনামা অনুযায়ী, বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ। এখানকার সিপিএম প্রার্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা নীরব খাঁ। 


 বর্ধমান আসনটি ১৯৫১ সালে তৈরি করা হয়েছিল । তারপর ২০০৯ সালে বর্ধমানকে বর্ধমান পূর্ব এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিভক্ত করা হয়। বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান জেলার অধীনে পড়ে। শহরটি সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। 


লোকসভার ভোটের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৩ মে । এই দিন বাংলার ৮ কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। একইদিনে ভোট হয় বহরমপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান - দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটে। 


রাজ্যের ৪২ আসনের রায় কার পক্ষে, কার বিপক্ষে? ভোট গণনার লেটেস্ট আপডেট 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে