কোথাও সকাল থেকে বিরোধীদের এজেন্ট নেই। কোথাও আবার বিরোধীদের বুথে বসা মহিলা এজেন্টকে নগ্ন করে ঘোরানোর হুমকি। দ্বিতীয় দিনে ধরা পড়ল এমনই নৈরাজ্যের ভোট-ছবি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এবং সবংয়ে একাধিক বুথে এদিন বিরোধী দলের কোনও এজেন্টই ছিল না। শুধুই তৃণমূলের এজেন্টকে দেখা গেছে।
তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, সংগঠন না থাকায় বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারেনি। বিরোধীরা এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাস-হুমকির অভিযোগে সরব।
সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের হুমকি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বোঝা যায়, কেশপুরে তাদের এক মহিলা এজেন্টের অভিযোগ শুনলে।
কেশপুরের ধন্যাগাড়া ও চেচুরা গ্রামের দুটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই সিপিএমের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়া ও বর্ধমানের একাধিক বুথে উঠেছে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কুলটিতে ভোটারকে চড় মারার হুমকি দিয়ে, ইভিএমের বোতাম দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কমিশনের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয় কুলটি কেন্দ্রের ৩৫ নম্বর বুথের ফার্স্ট পোলিং অফিসারকে।
বাঁকুড়ার দেসরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে বুথের বাইরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মান্দারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১৩ নম্বর বুথে এক ব্যক্তি অন্যের হয়ে ভোট দেন বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের এক কর্মী।
খড়গপুরের রাজারবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ নম্বর বুথে আবার এক বৃদ্ধাকে প্রিসাইডিং অফিসারই দেখিয়ে দেন, কোথায় ভোট দিতে হবে।