কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান ) : সবাই এক রকম হন না। বিধি ভাঙার ভিড়ের বাইরে বিধি মানার ব্যতিক্রমীরাও থাকেন। আসানসোল পুরসভার (Asansol Municipality) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) প্রচারে যখন করোনা বিধির দফারফা, তখন একই দলের প্রার্থীর প্রচারে অন্য ছবি দেখল ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড। করোনাকালে একদিকে স্বাস্থ্যবিধি বিসর্জন। আরেকদিকে নিষ্ঠার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি পালন। আসানসোল পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে ধরা পড়ল একেবারে ভিন্ন ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে ৪ কর্পোরেশনের ভোট। ২২ জানুয়ারির বদলে ভোট হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, প্রচারে খামতি নেই। সোমবার আসানসোল পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী উৎপল সিংহর প্রচারে আনা হয়েছিল কাঁচা বাদাম খ্যাত গায়ক ভুবন বাদ্যকরকে।
রাজ্যে কোভিড বিধি জারি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার অনুষ্ঠানে বিপুল জমায়েত হয়। মাস্ক না পরেই শিশু, মহিলা, বয়স্ক দর্শকরা হাজির হন। মঞ্চ থেকে ছোড়া হয় কাঁচা বাদাম। কোভিড বিধির তোয়াক্কা না করে তা কুড়ানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বীরভূমের বাদাম গানের গায়কের পাশে দাঁড়িয়ে মাস্ক না পরে হাততালি দিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে!
আরও পড়ুন ; হারাতে চাইছিলেন জিতেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপি থেকে তৃণমূলে সুদীপ
এত কাণ্ডের পরেও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, অনুষ্ঠান হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে ! তিনি বলেন, আমরা কোভিড বিধি মেনেই অনুষ্ঠান করছি।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডে যখন স্বাস্থ্য সচেতনতা শিকেয়, তখন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরো অন্য ছবি। তৃণমূল প্রার্থী তরুণ চক্রবর্তী বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছেন একাই। মুখে মাস্ক। সঙ্গী বলতে সাইকেল। ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছেন নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে।
শুধু তাই নয়। নিজের প্রচারে নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন তিনি। বললেন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে। জোর দিলেন দূরত্ব বিধি বজায় রাখার ওপর। তরুণ চক্রবর্তী বলেন, করোনার কারণে কাউকে সঙ্গে না নিয়ে প্রচার।
শালবনি থেকে জামডোবা হয়ে মাঝিপাড়া- এভাবেই চলল তৃণমূল প্রার্থীর ভোট প্রচার ও সচেতনতা প্রচার।