কলকাতা: গত রবিবার দমদম পার্কে বিজেপির দলীয় সভায় বিধান নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পাল্টে গেল ছবি। তৃণমূলে ফিরলেন তিনি।


তিনি বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বিধাননগর পৌরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সাথী বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে বিধান নগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর হাত ধরে বিধান নগরে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে তৃণমূলে ফিরলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধান নগর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য নির্মল দত্ত।


তৃণমূলে ফিরে সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল। কিছু লোকের উপর রাগ হয়েছিল। সেই ভুলটা সাতদিন ধরে বোঝার চেষ্টা করলাম। যেখান থেকে আমি মানুষ হয়েছি সেখান থেকে আমি এই সাম্প্রদায়িক দলে কাজ করতে পারব না। আমি বিজেপিতে গিয়ে কী দেব? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করিনি? আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু জানান, ১০ বছর ধরে আমাদের দলের সঙ্গেই আছে সাথী। আমাকে ফোন করে। আমি ওঁকে বলি তুমি ফিরে এসো। ওঁকে বলি আগের মতোই তুমি কাজ করবে।


এদিকে হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। প্রথম দফা ভোটের আগে শেষ রবিবার। তাই রাজ্যজুড়ে প্রচার তুঙ্গে। বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু ও বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। দু’জনই এদিন জনসংযোগ সারলেন নিজস্ব কায়দায়। এদিন লেকটাউনের শ্রীভূমি থেকে প্রচার শুরু করেন সুজিত বসু। যশোর রোড হয়ে বাঙ্গুর অ্যাভেনিউতে শেষ হয় প্রচার। বাঙ্গুর কালী মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু বলেন, মানুষ এর আগেও আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি সব সময় ভাল কাজ করার চেষ্টা করছি। আশা করি এবারও মানুষের আশীর্বাদ পাব। মমতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করব। তৃণমূল প্রার্থী যখন হুডখোলা জিপে প্রচারে ব্যস্ত, বিজেপি প্রার্থী তখন খাবারের দোকানে প্রভাতী আড্ডা জমিয়েছেন। সল্টলেকের সিএফ ব্লকে খাবারের দোকানে বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তকে ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়।