কলকাতা: পেশা এক, লক্ষ্য এক, মতাদর্শ আলাদা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌজন্যবোধ দেখাতে পিছপা হলেন না কেউই। বিরোধীপক্ষে যোগদানকারীকে ‘ভাই’ সম্মোধন করে তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে বিরল সৌজন্য দেখালেন দেব। পাল্টা দেবকে ‘বন্ধু’বলে ডাকলেন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া যশ দাশগুপ্ত।


গতকালই বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে সবাইকে চমকে দিয়ে এসে উপস্থিত হন অভিনেতা যশ দাশুগুপ্ত। ততক্ষণে মঞ্চে উঠে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী সৌমিলি বিশ্বাস ও পাপিয়া অধিকারী। কিছুক্ষণ পরেই তিনি উঠে যান মঞ্চে, হাতে তুলে নেন গেরুয়া শিবিরের পতাকা। বিজেপিতে যোগদান করেই যশের মুখে পরিবর্তনের কথা। বলেন, ‘সিস্টেমের মধ্যে থেকেই পরিবর্তন করতে হবে।’


ভোটের আগে দলবদল ও নতুনদের দলে যোগদানকে কেন্দ্র করে বারবার সরগরম হয়েছে রাজ্য় রাজনীতি। যশের পর আজই বিজেপিতে যোগদান করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।


যশ বা হিরণের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এমনকি মুখ খোলেননি যশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নুসরত জাহানও। কিন্তু ছক ভেঙে আজ যশকে ট্যাগ করে একটি ট্যুইট করেন দেব। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভাই যশ, রাজনীতির আঙিনায় তোমাকে স্বাগত। তুমি কোন দলের ভাবধারায় বিশ্বাস করো সেটা আমার কাছে বড় নয়। তোমার সঙ্গে সবসময় আমায় শুভকামনা রয়েছে।’



পাল্টা সৌজন্য দেখিয়েছেন যশও। দেবের করা ট্যুইটটি রিট্যুইট করে তিনি লেখেন, ‘অনেক ধন্যবাদ বন্ধু। আমাদের মতাদর্শ আলাদা হলে কী হবে, লক্ষ্যটা একই। মানুষের সেবা করা।’



এর আগে দেবের দলবদল ঘিরেও তৈরি হয়েছিল জল্পনা। গুজব ছড়িয়েছিল, বিজেপির সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন দেব। এমনকি আমন্ত্রণপত্রে ছাপা হয়েছিল তাঁর নামও। কিন্তু জল্পনা উড়িয়ে ট্যুইট করে দেব জানান, তিনি সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন না।


অন্য়দিকে বিজেপিতে যোগদান করে যশ বলেন, ‘আমি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করি। আমি এখনও নিজেকে ওনার ভাই বলি।' নুসরতের সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়েছে কিনা সেটা নিয়েও মুখ খোলেন যশ। বলেন, 'নুসরত আমার বন্ধু। আমাদের বন্ধুত্ব জীবিকার সূত্রে। আমাদের পেশা অভিনয়। নুসরত তাঁর মতাদর্শে তৃণমূলে রয়েছে আমি আমার মতাদর্শে বিজেপিতে। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলে রয়েছেন। কিন্তু আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করব। রাজনীতির রঙ এখানেই থাক। টলিউডে রাজনীতির রঙ না লাগানোই ভালো।’