মুম্বই: ১৭ বছর পূর্ণ করল আমির খান (Aamir Khan) ও কাজলের (Kajol) কালজয়ী ছবি 'ফনা' (Fanaa)। এমন এক ছবি যা দুই তাবড় তারকাকে এক ফ্রেমে এনেছিল, যা মানুষকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল। ভালবাসা, মন ভাঙা, আবেগ, বিশ্বাস, সবকিছু নিয়ে জীবন গড়তে শিখিয়েছিল। শুক্রবার ছবির ১৭ বছর পূর্তিতে ছবির শ্যুটিংয়ের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন নায়িকা। সিনেমার একটি গানের জন্য মাইনাস ২৭ ডিগ্রিতে শিফন সালোয়ার কামিজ পরে শ্যুটিংয়ের গল্প জানালেন তিনি।
'ফনা'র ১৭ বছর পূর্তি
এদিন ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন কাজল। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, 'আমার একাধিক "কামব্যাক"-এর অন্যতম কিন্তু জুনি চিরকাল আমার কাছে স্পেশ্যাল হয়ে থাকবে কারণ আমাকে আমার চশমা ছাড়া থাকতে হয়েছিল। হ্যাশট্যাগ নার্ডস রক! এবং যেহেতু তোমরা আমার স্মৃতি রোমন্থন পছন্দ করেছ তাই আরও কিছু শোনাই তোমাদে... শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে পোল্যান্ডে মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছিল এবং আমি একটা পাতলা শিফনের সালোয়ার কামিজ পরে জমা জলাশয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া তো ছিলই... অন্যদিকে আমির খান নিজের জন্য সুন্দর মোটা জ্যাকেট নিয়ে এসেছিল স্থানীয় দোকান থেকে কেবলমাত্র শ্যুটিংয়ের জন্য। ফলে ওই জমে যাওয়া জলে দাঁড়িয়ে আমার মুখে স্বাভাবিক যে যন্ত্রণা ছিল, ওঁর মুখে সেটা ছিল না। তবে এখানেই শেষ নয়। সোনায় সোহাগা হচ্ছে গোটা গানের শ্যুটটা ফেলে মুম্বই ফিরে আসার পর ফের শ্যুটিং করা হয়। গোটা পৃথিবীর সমস্ত মহিলা এবং নায়িকাদের স্যালুট করা উচিত আমাদের, শুধুমাত্র সুন্দর দেখানোর জন্য তাঁরা যে কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করেন সেই কারণে।' এর সঙ্গে হ্যাশট্যাগে তিনি লেখেন, 'ফনার ১৭ বছর'।
রোম্যান্টিক ড্রামা ঘরানার ছবি 'ফনা' তৈরি হয়েছিল কাশ্মীরের সুন্দর উপত্যকার প্রেক্ষাপটে। এই ছবি জুনি, এক অন্ধ কাশ্মীরি কন্যা, এবং রেহান নামক এক ট্যুরিস্ট গাইডের গল্প বলে। রেহানের এক সাংঘাতিক গোপন পরিচয় থাকে ছবিতে। জুনির চরিত্রে কাজল প্রেমে পড়ে, রেহানের চরিত্রে আমির খানের। রেহানের আসল উদ্দেশ্য যখন প্রকাশ্যে আসে তখন তাঁদের প্রেমকাহিনি নতুন মোড় নেয়, এবং অবশ্যই প্রেমের পরে আসে মন ভাঙা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ট্র্যাজেডি।
আরও পড়ুন: Health News : ডায়াবেটিস-সহ একাধিক কঠিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, রোজ পাতে রাখুন ১টি কাঁচা পেঁয়াজ
এই ছবির অভিনয়, গান এবং সিনেম্যাটোগ্রাফি অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। আমির খান ও কাজলের পর্দায় রসায়ন খুবই পছন্দ করেন দর্শক ও সমালোচকরা। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন যতীন-ললিত। ছবির গান অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে বিশেষত 'চাঁদ সিফারিশ' ও 'মেরে হাত মে'।
প্রসঙ্গত, কাজলকে শেষ দেখা গিয়েছিল 'সেলাম ভেঙ্কি' ও 'হেলিকপ্টার ইলা' ছবিতে। এরপর তাঁকে ইব্রাহিম আলি খান ও পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে সূরিয়ার হিট ছবি 'সরজমিন'-এর রিমেকে।