কলকাতা: শপথগ্রহণের পরেই শুরু কাজ। ব্যারাকপুরের বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণ করার পরেই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পথে নামলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ২০০ থেকে ২৫০ বেডের কোভিড হাসপাতাল খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।


শপথ গ্রহণ করবার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁদের প্রধান কাজ কোভিডকে নিয়ন্ত্রণ করা। সেইমত গোটা রাজ্যেই পরিকল্পনা করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়াতে হবে বেড, তৈরি করতে হবে কোভিড হাসপাতাল, অক্সিজেন প্লান্টও। আজও বিধানসভায় টিকার কথা তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুতেই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন তিনি। শপথ নেওয়ার পরে অধিকাংশ বিধায়কের মুখেই শোনা গিয়েছে কোভিড নিয়ন্ত্রণের কথা।


আপাতত ব্যারাকপুরেই রয়েছেন রাজ। সূত্রের খবর, তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন এলাকার কাজেই। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজ লেখেন, 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ১০৮ ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র এবং সংলগ্ন অঞ্চলের কোভিড আক্রান্ত মানুষদের পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা মানুষকে বিনামূল্যেএই পরিষেবা দিতে সক্ষম হব। এই পরিকল্পনায় সামিল হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।' লেখাটির সঙ্গে কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন রাজ। পরিচালকের সেই পোস্টে অনেকেই সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।



শপথ গ্রহণ করার পর এবিপি আনন্দকে রাজ বলেছিলেন, ‘আমার চিত্রনাট্যের নায়ক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর একজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু'জনের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আমরা জিততে পেরেছি। এক এক জায়গায় এক একজন ভিলেন ছিলেন। আমার কেন্দ্রেও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় আমাদেরই হয়েছে।’ সেইসঙ্গে রাজ এও বলেছিলেন, নিজের তুলনায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের দিন তিনি আরও বেশি উৎসাহী ছিলেন।


অন্যদিকে, এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজের ঘরণী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'নির্বাচনী প্রচারে রাজ যখন ব্যারাকপুরে যেত, আমায় একটা কথা বলেছিল। বলেছিল, ‘নির্বাচনে জিতি বা হারি, এখানে প্রচুর বাচ্চা আছে যাদের জন্য কাজ করতে হবে। আমায় সেই দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ। সেটা আমি অবশ্যই পূরণ করব। কোভিড পরিস্থিতিটা একটু স্বাভাবিক হোক'