মুম্বই: বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন তাঁর স্ত্রী আলিয়া। আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো এই নোটিশে বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোশের অর্থ দাবি করা হয়েছে। তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ কী, তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আলিয়া। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিনের জটিলতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।  তাঁর অভিযোগ, বিবাহিত জীবনে যে অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন, তা আর বরদাস্ত করা যায় না।

আলিয়ার অভিযোগ, দীর্ঘদিন আগেই সমস্যার সূত্রপাত। নওয়াজের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই তা চলছিল। কিন্তু তিনি কখনও তা প্রকাশ্যে আনেননি। সমস্যার সমাধানেরই চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সবকিছু ঠিক হবে বলে অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়নি। এজন্যই অবশেষে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলিয়া।

এতদিন আড়ালে রাখার পর কীসের জন্য এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বাধ্য হলেন, এই প্রশ্নের জবাবে আলিয়া বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ধীরে ধীরে আমার আত্মমর্যাদাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল।

তিনি বলেছেন, বিয়ের পর থেকে কার্যত একা হয়ে যান তিনি। সন্তানদের নিয়ে প্রায় ১০ বছর একাই থাকতে হয়েছে। সবকিছু তাঁকেই করতে হয়েছে।  তাই এই সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আলিয়ার বক্তব্য, যখন সবকিছু একাই করতে করতে হবে, তাহলে একা থাকাই ভালো।

আলিয়া নওয়াজউদ্দিনের পরিবারে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, নওয়াজ তাঁর গায়ে কোনওদিন হাত তোলেননি। কিন্তু চিত্কার-চেঁচামেচি অসহ্য হয়ে উঠেছিল। নওয়াজউদ্দিনের পরিবার তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আলিয়া। নওয়াজউদ্দিনের ভাই তাঁকে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। স্বামীর মা, ভাইয়েরা ও ভ্রাতৃবধূরা মুম্বইয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন বলে জানিয়েছেন আলিয়া।

আলিয়ার অভিযোগ, নওয়াজের প্রথম স্ত্রী একই কারণে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, নওয়াজদের বাড়ির বধূরা তাঁদের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা দায়ের করেছেন। চারটি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এটা পঞ্চম।

আলিয়া জানিয়েছেন, এই সময়ে পাশে রয়েছেন তাঁর বোন। কারণ, তাঁর বাবা-মা নেই। ভাইও গত ডিসেম্বরে মারা গিয়েছেন।